গুজরাতের মতো পশ্চিমবঙ্গেও দ্রুত লাগু হবে সিএএ,মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন,’গোটাটাই সিএএ-র অংশ। রুল তাহলে হয়ে গিয়েছে। সিএএ কার্যকর শুরু হয়ে গেল। এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে না। পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ কার্যকর হবে। মতুয়া, নমঃশুদ্রদের এতদিন ভিসা বা চাকরির জন্য বলা হত ৭১ সালের আগের নথি দেখাতে। সেই সমস্যা আর হবে না।’

এদিকে সিএএ কার্যকর করার পিছনে গুজরাতে সেতু-বিপর্যয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই সস্তার পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।বলেছেন, ‘দ্বিচারিতা করছে মোদী সরকার ও শুভেন্দু। গুজরাটের সেতু বিপর্যয় ও কেন্দ্রের নানা দুর্নীতি থেকে মুখ ঘোরাতেই এই ধরণের হাওয়া ছড়াচ্ছে ওঁরা। শুভেন্দুই তো এক সময় সিএএ কার্যকর করতে দেবে না বলে সরব হয়েছিলেন। এবার অন্য কথা বলতে হচ্ছে কারণ ওঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই বাঁচতে বড় বড় কথা বলছেন।’

অন্যদিকে এই নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন সিপিএম এবং কংগ্রেসও।সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শুভেন্দু সিএএ নিয়ে যা বলছেন তার সঙ্গে সংবিধানের কোনও সম্পর্ক নেই। কেন সিএএ-র বিধি কার্যকর হল না? সিএএ প্রয়োগ এত সোজা নয়। জোর করে সিএএ কার্যকর করতে গেলে ঠেলা বিজেপি বুঝবে।’

এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘গুজরাট ভোট নিয়ে মোদীজিরা চিন্তায় রয়েছেন। তাই ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি শুরু করলেন। ভোট এলেই সিএএ, এনআরসি আসে। এতে বিজেপি ও এ রাজ্যে পঞ্চায়েতের আগে দিদির লাভ হবে।’

উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে গুজরাটেও। কিন্তু মোদী রাজ্যের কোনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়নি। এনিয়ে আগেই সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল কোনও ভোটমুখী ঘোষণার জন্যই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হচ্ছে না। মঙ্গলবারের রাজ্যের ২ জেলায় নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণায় বিরোধীদের সেই আশঙ্কায় সিলমোহর পড়ল। তাদের আরও অভিযোগ মোরবি ব্রিজ ভাঙা থেকে মানুষের মন ঘোরাতে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন:Arvind Kejriwal:গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বললেন কেজরিওয়াল!