প্রত্যেকটা মেয়ের কাছে চুল হচ্ছে তার সম্পদ। ইতিমধ্যেই গরমকাল পড়ে গেছে। আর এই গরমকালে নাজেহাল আমরা সবাই। কোনো না কোনো কারণে আমারে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়।কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুলের ডগা ফেটে যাওয়া ,নির্জীব ও রুক্ষতার মতো নানা কারণ দেখা যাচ্ছে । প্রত্যেকটা মেয়ের কাছে চুল হচ্ছে তার সম্পদ। অনেক সময় চুলের ডগা ফেটে যাওয়ায় আমাদের চুল দেখতে খুব খারাপ লাগে। আজকার নিজের চুলের সৌন্দর্য তুলে ধরতে আমরা বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কিন্তু এ সমস্ত কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে ব্যবহার করুন ঘরোয়া উপায়। যেমন কিছু ঘরোয়া উপায়ে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলেই আপনি চুলের ডগা ফেটে যাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন ।

চুলের ডগা ফাটা(hair breakage ) রোধ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো চুলের উপযুক্ত তেল দেওয়া। এক্ষেত্রে নারকেল তেল অনেক কার্যকারী। শ্যাম্পু করার এক ঘন্টা আগে চুলে ভালোভাবে তেল মাখবেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন।এতে আস্তে আস্তে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে।

সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনাকে প্রোটিন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে হবে। একটি কাঁচা ডিমের সঙ্গে তিন চামচ টক দই, এক চামচ মধু, এক চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে দু ঘন্টার জন্য চুলে লাগিয়ে রেখে দিন। কাঁচা ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন যা চুলকে স্বাস্থ্যকর ও সিল্কি করে তোলে, টকদই যা চুলে পুষ্টিযোগান দেয়। মধুর মধ্যে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট যা চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা চুলের রুক্ষতা দূর করে

চুলের আগা ফাটা(hair breakage) রোধ করতে অ্যালোভেরা জেল এর কোন বিকল্প নেই। অ্যালোভেরা থেকে জেল বের করে নিয়ে ক্যাপ থেকে চুলের ডগা অব্দি লাগান।আধঘণ্টা রেখে কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার করা দরকার নেই কারণ অ্যালোভেরা জেল চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে ।

আর সব থেকে বড় কথা ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেন না। এটি চুলের ডগা আরো বেশি করে ফাটে।এমনিতে ভেজা চুল মোটেও ব্রাশ করা উচিত নয়, গোছা গোছা চুল উঠে যেতে পারে। তাই ব্রাশের বদলে মোটা দাঁড়ার কাঠের চিরুনি বেছে নিন। মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে জট ছাড়়িয়ে নিতে পারবেন, চুল ডগা ফাটা কমে যাবে।

Image source-google