রবিবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গেল মোদী রাজ্য গুজরাটে (Gujrat)।গুজরাটের মৌরবিতে ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখও পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে সরকারের তরফে।এরমধ্যে গেরুয়া শিবিরে আরো বড় বিপত্তি ঘটে।

জানা গেছে,গুজরাটে মোরবিতে ব্রিজ বিপর্যয়ের মধ্যে রাজকোটের বিজেপি (BJP) সাংসদ মোহনভাই কুন্ডারিয়ার পরিবারের ১২ জন সদস্য দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।১২ জনের মধ্যে ৫ জন শিশু ছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছে, মাচ্ছু নদীতে তাদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধারকারী নৌকাও ঘটনাস্থলে রয়েছে।’ এদিকে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় আমি পাঁচ শিশুসহ আমার পরিবারের ১২ জন সদস্যকে হারিয়েছি। আমার বোনের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি আমি।’

সূত্রের খবর,গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনার সময় ব্রিজে প্রায় ৪০০ জন উপস্থিত ছিলেন।সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।এখনও নিখোঁজ শতাধিক।এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭ জনকে।আহতরা হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন।এখনও তল্লাশি অভিযান চালু রয়েছে।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।আর এই মর্মান্তিক ঘটনাতেই মারা যায় খোদ বিজেপি সাংসদের পরিবারের ১২ জন সদস্য।

জানা যায়,রবিবার সন্ধেবেলা ব্রিজ (Morbi Bridge Collapse) ভেঙে পড়ার পরেই উদ্ধারকাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।সেই কাজে যোগ দেয় ভারতীয় সেনা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।সোমবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছেন। এখনও নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি চলছে।গোটা ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’

এদিকে আবার ব্রিজের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে গণহত্যার চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। মোরবি বিপর্যয়ে ইতিমধ্যে এক বাঙালি যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।গোটা ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাও।ইতিমধ্যেই এই ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।অর্থাৎ বলা যায়,বর্তমানে এই দুর্ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিকে।

 

আরো পড়ুন:Naihati:উত্তপ্ত নৈহাটি!ভাঙচুর মূল অভিযুক্তের বাড়ি