কিছুতেই কারাগার থেকে মুক্তি হতে পারছেন না বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)।ফের একবার জেল হেফাজত হল তাঁর।আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে।
জানা যায়,গরু পাচার মামলায় প্রায় এক মাস পর শনিবার ফের তাকে সশরীরে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।আর যাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোলের কোর্ট রুম।
এদিন অনুব্রতর জামিনের আবেদন জানাতে গিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন অনুব্রতর আইনজীবী।আদালতের কাছে অনুব্রতর আইনজীবী বলেন,শাসক দলের জেলা সভাপতির প্রভাব রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে সিবিআই।তদন্ত চালানো হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্যবস্তু করে।রাজনৈতিক দল না বদলানো অবধি জামিন পাবেন না?উনি রাজনীতি ছাড়লেই তবেই জামিন পাবেন?তবেই তাঁর প্রভাবশালী তকমা সরে যাবে?প্রশ্ন করেন তিনি।এরপরই অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একের পর এক চার্জশিটে অনুব্রতর নাম উল্লেখ করা হচ্ছে।
যদিও প্রথম থেকে জামিনের আবেদন খারিজের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।শনিবার আরও কয়েকজন সাক্ষ্যের নাম সিডিতে জমা দেওয়া হয়।তিনি জানান, তদন্ত চলছে।অনুব্রত প্রভাবশালী।তাই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক।আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন,গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ ঠিক কোথায়?জামিন দেওয়া হলে সাক্ষ্যদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারেন অনুব্রত?তদন্ত শেষ করতে আর কত দিন সময় লাগবে?আরও ২মাস সময় লাগবে উত্তরে জানায় সিবিআই।দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেই আদালত।১১ নভেম্বর আবার আদালতে তাকে তোলা হবে বলে জানানো হয়।
আরো পড়ুন:Sukanya Mondal:ফের ইডির হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত কন্যা!তলবে গেলেন না নয়াদিল্লি