প্রথম বিয়ে ভাঙার পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন মহিলা। কিন্তু সেই বিয়ে যে তার জীবনে অভিশাপের মতো তা কিছুদিনের মধ্যেই বুঝে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের পুরানপুরের এক মহিলা।রীতিমতো স্বামী, সত্‍ ছেলে (step son) এবং স্বামীর বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছে নিয়মিত গণধর্ষণ (gang raped) করেন ওই মহিলাকে।যা মেনে নিতে না পেরে তিনি হয়েছিলেন পুলিশেও দ্বারস্থ।কিন্তু সেখানেও মেলেনি সঠিক বিচার।আর সেই বিচারের আশায় এবার সরাসরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে আবেদন জানালেন ওই নির্যাতিতা।এমনকি চিঠির মাধ্যমে তিনি তার নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন পর্যন্ত জানালেন রাষ্ট্রপতির কাছে।

জানা গেছে, ৩০ বছর বয়সি ওই মহিলার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম পক্ষের স্বামীর সঙ্গে এক সন্তান রয়েছে তার। কিন্তু সেই বিয়ে ভেঙে যায়। তার ৩ বছর পর চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সি হ্যাঁ, কৃষিজীবীর সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এর কিছুদিন পর থেকেই সত্‍ ছেলে জোর করে যৌনতায় লিপ্ত হতে শুরু করে তাঁর সঙ্গে। এই হিসেবে মুখ খুললেই পরিণতি খুব খারাপ হবে বলে তাঁকে ভয় দেখানো হতো বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।

প্রাথমিকভাবে এই ঘটনা মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সত্‍ ছেলে নিয়মিত তাঁকে ধর্ষণ করতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন তিনি। এক সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করবেন বলে জানানোর পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুরাণপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গর্ভপাত করতে বাধ্য করে তাঁকে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ১৮ জুলাই তাঁকে চণ্ডীগড়ের ফার্ম হাউজে নিয়ে যায় তাঁর স্বামী। সেখানেই তাঁর স্বামী, তার এক আত্মীয় এবং দুই সহকর্মী মিলে ধর্ষণ করে তাঁকে। গত ৯ অক্টোবর তিনি পুরাণপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। কিন্তু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা তো দূর, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পুলিশ বিষয়টিতে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি লিখেছেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন তিনি বিচার ব্যবস্থা এবং নিজের জীবনের উপর থেকে সম্পূর্ণ আশা হারিয়ে ফেলেছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছেন তিনি। আপাতত আগের পক্ষের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে নিজের মা এবং দুই দাদার সঙ্গে রয়েছেন তিনি।

এই ঘটনা সামনে আসার পর পিলভিটের পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার প্রভু জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী, সত্‍ ছেলে সহ মোট ৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট দীনেশকুমার প্রভু জানাচ্ছেন, যেহেতু অভিযোগটি জটিল, তাই পুলিশ একটু সময় নিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

 

আরো পড়ুন:Suvendu Adhikari:মুড়ির টিনে করে কালীঘাট-শান্তিনিকেতনে টাকা নিয়ে যেতেন সায়গল:শুভেন্দু!