সোমবার গভীর রাতে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মূল কান্ডারী মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করে ইডি।আর সেই গ্রেফতারের পরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। শিক্ষক নিয়োগে কিভাবে আরো দুর্নীতি,আরো টাকা উদ্ধার করেছিলেন তিনি, তা আগেই প্রকাশ্যে আসে।আর এইসবের মধ্যেই শুক্রবার চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি।নতুন করে তার যোগসূত্র খুঁজে পায় আবার শিক্ষক বদলিতে।শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয় সম্পত্তির বিষয়েও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সাতসকালেই ইডি।

জানানো হয়,নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাত্‍ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তাঁকে প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায় । কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিষ্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি ।”

এরমধ্যে আবার শিক্ষক বদলিতেও তার যোগ পায় ইডি।টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই, দাবি ইডির। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ। যা এসেছে মানিক ভট্টাচার্যের নামে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

ইডি সূত্রে খবর, তারা যে সমস্ত নথি পেয়েছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। যেখানে কয়েকজন শিক্ষকের নাম রয়েছে যাদের পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি মেসেজেও এই বদলি নিয়ে টেক্সট চালাচালি করেছেন মালিক বলে দাবি ইডির। প্রথমে টাকার বিনিময়ে প্রান্তিক কোনও এলাকার স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়া ও পরে তাদের মধ্যে থেকেই অনেকে নিজেদের এলাকার নিকটে বদলির জন্য আবেদন করেছেন। সেই সকল শিক্ষকদের হয়ে সুপারিশ এসেছে মানিকের কাছে বলে দাবি ইডির।

আর এই বদলি পিছু রফা হয়েছে ৬-৭ লক্ষ টাকা বলেও দাবি তদন্তকারীদের।এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে এই অর্থের পরিমান। কিন্তু কার নির্দেশে হত এই বদলি? সুপারিশ বা কে করতেন? সবটাই এখন ইডির নজরে। শিক্ষক বদলি নিয়েও জেরার মুখে মানিক ভট্টাচার্য বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। তবে সংস্থা সূত্রে খবর, গত দু’দিন জেরার মুখে তেমন ভাবে কোনও উত্তর দেননি মানিক।

 

আরো পড়ুন:Primary Education : মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির দিনেই শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা