সমাজ যেমন মানুষ ছাড়া গড়ে ওঠে না, তেমনি মানুষও সমাজকেন্দ্রিক। আর সমাজের বেড়াজালে আবদ্ধ সেই মানবজাতি। নারী পুরুষের সাজ পোশাক, বিয়ে, সম্পর্ক, পেশা- সব কিছুই একটা গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। এদিক থেকে ওদিক হলেই মানুষের সমালোচনার ঝড় বয়ে আসে। এছাড়াও সমালোচনা হয় অসম বয়সে বিয়ে ও সমকামীদের নিয়েও। আর সেই ছকে বাঁধা প্রথাই ভাঙ্গার কথা বললেন পোশাক শিল্পী রুদ্র সাহা (Stylist Rudra Saha)।
আসলেই মানুষের উপযোগী বিয়ের বয়স কতো? ১৮-২৫ না কি ৪৫! আবার বিয়ে যে একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যেই হতে হবে এ কেমন বিধিলিপি? যুগ পাল্টেছে, পাল্টেছে সময়। বহুযুগের প্রাচীন প্রথা থেকে মানুষ এখনও বেরোতে পারেনি। তাই আগে যেরম স্বামীর বয়স অনেক বেশি থাকতো, অন্যদিকে স্ত্রীয়ের বয়স থাকতো কম। তাই এখনও মনে করা হয়, পুরুষের বয়স স্ত্রীয়ের তুলনায় বেশিই থাকতে হবে। বলিউড সেলিব্রিটি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, করিনা কাপুর খানও বয়সের তুলনায় ছোটো কিংবা বড়ো পুরুষকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু সেলিব্রিটি হলেও কটাক্ষ তাঁদের পিছু ছাড়েনি।
নারীর এই অসম বয়সের বিয়ে নিয়ে শুধু নয়, সমাজ এখনও মেনে নিতে পারে না সমপ্রেমও। আজও দুজন পুরুষ কিংবা নারী একসাথে দাঁড়ালে কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাদের। বিদ্রুপ থেকে শুরু করে অপমানজনক মন্তব্যের শিকার হতে হয় তাদের। দুটো মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে ভালো আছে। এর থেকে বড়ো পাওনা হয়তো আর কিছুই হতে পারেনা। তবুও মানুষকে কটাক্ষ করেই যেন মানুষের তৃপ্তি।
পুজোর আগেই ভারত ও বাংলাদেশ এক হল দুই মেয়ের বিয়েতে। চেতন শর্মা ও অভিষেক রায়ের জুটি বেশ নজর কেড়েছিল পুজোর আগে। পরিবর্তন আনতে চায় আরও লড়াই।
তাই শিল্পী রুদ্র সাহা বলেছেন, সমাজ, নিয়ম সব সমালোচনার উর্ধ্বে। মানুষের বড় পরিচয় হওয়া উচিৎ তাঁর মূল্যবোধ। যত কথা, যত মন্তব্যই ভেসে আসুক না কেন আমাদের একসাথে জয়গান গেয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষকে মানুষের মন থেকে ভালবাসতে হবে, তাঁর চেহারা কিংবা লিঙ্গ ভেদাভেদের ভিত্তিতে নয়।
আরও পড়ুন : Dev Rukmini In Greece: গ্রীসে একান্তে ছুটি কাটাচ্ছেন দেব-রুক্মিণী