দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের (WB Municipal Elections)। এমনকি শেষ হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়াও।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বুঝে পিছনো হতে পারে রাজ্যের চার বকেয়া পুরসভার নির্বাচন(Election)।
আগেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তা জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
এ বার ভোট করানো আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে কমিশনের (WB Election Commission) কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছে আদালত।
পুরভোট আদৌ হবে কিনা ১১ই জানুয়ারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে।
হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে আলাদা করা নিয়ে এমনিতেই রাজনৈতিক তরজা চলছে ডিসেম্বর থেকেই। তার মধ্যে করোনায় ভোটের প্রয়োজনীয়তা কতটা সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সওয়াল-জবাব চলাকালীন, আদালত জানতে চায়, পূর্ব নির্ধারিত ২২ জানুয়ারি চার পুরসভায় নির্বিঘ্নে ভোট করানো সম্ভব কি না।
এ নিয়ে রাজ্যের নির্বাচন(Election) কমিশনকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।
আগামী ১১ই জানুয়ারি এই নিয়ে ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বড়দিন এবং বর্ষবরণের পর থেকে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে ভোট পিছনোর দাবি উঠতে শুরু করেছে।
বামেরা জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ভোট হলে মারাত্মক বিপদ নেমে আসতে পারে।
তাই ভোট আপাতত স্থগিত রাখাই সমীচীন। বিজেপি-রও(Bjp) একই বক্তব্য।
করোনা পরিস্থিতিতে ভোট স্থগিত রাখার মতো সদর্থক পদক্ষেপ করা হলে, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এর আগে, গত ২৩ই ডিসেম্বর কমিশন আদালতে জানিয়েছিল যে ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত রাখলে, তাঁদের আপত্তি নেই।
পাশাপাশি তৃণমূল জানিয়েছে, এই ব্যাপারে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেমে, তেমনটাই মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন তৃমমূল নেতৃত্ব।