পুলিশের মেরুদন্ড বিক্রি হয়ে গেছে রাজ্যের শাসক দলের কাছে।পুরোপুরি তারা এখন দলদাসে পরিনত হয়েছে!একথা আগেও শোনা গিয়েছিল বিরোধী শিবিরের মধ্যে।কিন্তু এই কথার তাৎপর্য যে কতখানি তা আবারও বোঝা গেলো এবার সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) পদক্ষেপে।

ঘটনার সূত্রপাত সেই বিজেপির নবান্ন অভিযানকেই ঘিরে।১৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের অন্দরে আরো চাপ বাড়াতে বিজেপি যে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল।সেই অভিযান নিয়ে যেন একপ্রকার বিপাকে পরে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির।নবান্ন অভিযানের দিন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।বেশ কয়েকজন নেতাকেও গ্রেফতারও করা হয়েছিল সে দিন।কিন্তু এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি।

আহত পুলিশ কর্মীকে দেখতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন,-“আমি স্যালুট করি, যে আপনারা কিছু করেননি। আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হত, তাহলে আমি মাথার ওপরে শুট করতাম।” আর তার এমন মন্তব্য নিয়ে আবারও ক্ষেপে ওঠেন গেরুয়া শিবির।এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী তথা বিজেপিরা।সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

এমনকি পুলিশের কাছে হয়েছিলেন তিনি দ্বারস্থ।কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার এই বিষয় নিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গুলি মন্তব্যে নিয়ে আদালতে গিয়ে তিনি বলেন,-“এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেই অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হলাম।” সূত্র মারফত জানা গেছে,সুকান্ত মজুমদারের পক্ষে এদিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী কল্লোল মজুমদার।

 

আরো পড়ুন:Sukanta Majumder:’মমতা সরকারের পতন ডিসেম্বরেই’জানালেন সুকান্ত!পাল্টা দিলেন কুণাল