শত শত বছর ধরে সারা বিশ্বের লোকেরা হলুদকে ত্বকের নানান রকমের সমস্যা নিরাময়কারী এবং প্রসাধনী সামগ্রী তৈরীতে হলুদের উপকারিতার কথা বলেছেন।হলুদ আদার সমগোত্রীয়। এটি রান্নায় মশলা হিসাবে ব্যবহারের পাশাপশি সৌন্দর্য এবং চর্মরোগ সংক্রান্ত সমস্যাতেও বহুল মাত্রায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
হলুদ স্বাস্থ্যকর কারন এতে প্রাথমিকভাবে কারকিউমিন আছে যা একটি বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান। কারকিউমিনের প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং দীপ্তি বৃদ্ধি করে। হলুদ তার প্রাকৃতিক গুনে আপনার ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। হলুদ দিয়ে ফেস মাস্কও বানাতে পারেন। এর জন্য দুধ, গোলাপজল, মধু ও হলুদ বাটা দিয়ে একটা প্যাক বানান। এটি স্নান করার আগে মিনিট কুড়ি মুখে মেখে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন।
হলুদে পাওয়া কারকিউমিন প্রদাহ এবং অক্সিডেশন কমিয়ে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ক্ষতগুলিতে আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেয়। এর ফলে আপনার ক্ষত আরো দ্রুত নিরাময় হয়।
হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী আপনাকে সাহায্য করতে পারে জ্বলন এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করে সোরিয়াসিস নিরাময় করতে।
ব্রণর ফলে যে কোনো দাগ কমাতে হলুদের ফেস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রণ কমাতে পাতিলেবুর রস, শসার রসের সঙ্গে হলুদ বাটা মিশিয়ে ব্রণর উপরে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে ব্রণ শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। আবার ব্রণ সারার পরে তার দাগ তুলতে এই প্যাকের সঙ্গে নারকেল তেল বা তিল তেল মিশিয়ে নিন।
উজ্জ্বল ত্বক ও সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত হলুদ খাওয়াও জরুরি। টারমারিক টি-ও শরীরের জন্য খুব ভাল। ৪ কাপ জলে ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে অল্প পাতিলেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। টারমারিক টি-ও বেশ উপকারী।
আরও পড়ুন…Aloe Vera : অ্যালোভেরার (ঘৃতকুমারীর) গুণাগুণ