ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu) ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে খোঁচা মদন মিত্রের।
এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মদন বলেন, ‘আমি বলি টাচ মি, টাচ মি, টাচ মি. যত পারো টাচ মি। এসো আমায় জড়িয়ে ধরো।
আমি তোমায় সঙ্গে নিয়ে চলে মাকে জড়িয়ে ধরি। মা দুর্গাকে জড়িয়ে ধরি। কখনও মুখ দিয়ে বের হবে না – ডোন্ট টাচ মাই বডি।
আমি অ্যাম মেল। আমি নিশ্চিত যে আমি পুরুষ। আমার মনে কোনও বিভ্রান্তি নেই।’
এর আগেও শুভেন্দু অধিকারীকে (Subhendu) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে।
মদন মিত্র বলেছিলেন, ‘যাঁরা বলছেন ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেলস।
যদি দলের নির্দেশ আসে ১০ মিনিট লাগবে না, ওসব ঘটি-বাটি মুড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠিয়ে দেব।’
উল্লেখ্য, নবান্ন অভিযানের দিন, এক মহিলা পুলিশকর্মীর উদ্দেশে শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আপনি লেডি। ডোন্ট টাচ মাই বডি।’
এর প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেছিলেন, ‘মহিলা পুলিশকর্মীকে উনি (শুভেন্দু) বলেন, আমি ‘মেলস’ আপনি মহিলা। ডোন্ট টাচ মি।
এখন বুঝতে পারছি, সুদীপ্ত সেন যদি পুরুষ না হয়ে মহিলা হতেন, অর্থাত্ সুদীপ্তা হতেন, তা হলে ওনার কাছ থেকে তিনি টাকা নিতেন না।
বা নারদ স্টিং কাণ্ডে ম্যাথু স্যামুয়েল না গিয়ে যদি অ্যাঞ্জেলিনা স্যামুয়েল যেতেন তা হলেও উনি টাকা নিতেন না।’
পাশাপাশি শুভেন্দুকে ‘পুরুষ পছন্দ করা নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেক।
পরে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বেলাগাম হন কুণাল ঘোষও।
বলেছিলেন, ‘কোনও এক জন নেতা, যাঁর নাম বলব না, শুভেন্দুর কথা বলছি না, কিন্তু সেই নেতা যৌন বিকৃত, হোমোসেক্সুয়াল, সমকামী।
তাঁর এক দেহরক্ষীকে বিকৃত যৌনতা দেখাতে গিয়েছিলেন। সেই
দেহরক্ষী বাইরে সব বলে দেবেন, এই ভয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলে চালানো হয় সেই ঘটনা। সেই নেতা কে?’