এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জেরায় বিস্ফোরক (Partha Chatterjee) দাবী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।

এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন ছিল, কার নির্দেশে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি

দেওয়া হয়েছিল? কিভাবে নাম নির্বাচন করা হয়? এই নামগুলো কে দিয়েছে?

পার্থ চ্যাটার্জীকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে প্রভাবশালী সংযোগ আছে কিনা। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন পার্থ।


তিনি বলেন, আগে বিভাগ থেকে ফাইল আসত, আমি সেই ফাইলে স্বাক্ষর করতাম।

তার বিশেষ কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন প্রাক্তন এই শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি দাবি করেন, “আমার ভূমিকা খুবই সীমিত ছিল, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শিক্ষা দফতর দেখাশোনা করত। আমি কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করতাম।”

সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দায় চাপান অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ওপর।

পার্থ দাবি করেছেন যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শিক্ষা দফতরের তরফে দেখাশোনা করা হয়েছিল।

তিনি শুধু অফিসের ফাইলে স্বাক্ষর করতেন। তার ভূমিকা ছিল সীমিত। আধিকারিকদের ওপর আস্থা রাখেন বলেও দাবী করেন প্রাক্তন এই শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্রের খবর, পার্থর বক্তব্যের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ডাকতে পারে সিবিআই।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে জেরা করেছিল সিবিআই।

সূত্র জানায়, অর্থ লেনদেন ও প্রভাবশালী সংযোগ জানতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতিকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সূত্রের দাবী, পার্থ দুর্নীতি-সংক্রান্ত নিয়োগের কথা অস্বীকার করলেও প্রমাণ পাওয়া যায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) সরাসরি জড়িত ছিলেন।

পার্থ মরিয়া হয়ে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করছে। দুর্নীতির দায়ও এড়িয়ে গেছেন কল্যাণময়। প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও সিবিআই হেফাজতে নিয়েছে।