মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan Case) ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা ও হাওড়া। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের। গ্রেফতার করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেককে।

এরপরই বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ মিছিলকে কেন আটকে দেওয়া হল? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও কেন গ্রেপ্তার করা হল শুভেন্দু অধিকারীকে? বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ অনৈতিকভাবে বাধা দিয়েছে।মামলার শুনানিতে শেষপর্যন্ত স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সুবীর সান্যাল ও সুস্মিতা সাহা দত্তের দ্রুত শুনানির আবেদন গ্রহণ করে আদালত। আজ বিকেলে মামলা ফাইল করার অনুমতি দেওয়া হয়। বিজেপির আইনজীবীদের অভিযোগ, পূর্ব ঘোষিত একটি কর্মসূচিকে পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ করেছে পুলিশ। বেআইনিভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর, রাজ্য বিজেপির দপ্তরে ঢুকে নির্বিচারে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মাথায় আঘাত করা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, বিজেপির কর্মসূচির নাম নবান্ন অভিযান। নবান্নের চারদিকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে কোন অবৈধ জমায়েত বা মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। আন্দোলনকারীদের পুলিশ বারবার পিছিয়ে যেতে বলেছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হলেও, প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, রাস্তার আলোকস্তম্ভ, পুলিশের কিয়স্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে। ৫০ জনের বেশি পুলিশ কর্মী আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মামলার শুনানি শেষে হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অকারনে কাউকে আটকে রাখা যাবে না। আর আজকের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হল। আগামী ১৯ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

আরো পড়ুন:Kunal Ghosh:বিজেপির নবান্ন অভিযান ফ্লপ:কুণাল ঘোষ!