রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি ধরা পড়তে নড়েচড়ে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।ফের তিনি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর নিয়ে আসলেন। সোমবার জানালেন,পুজোর আগেই রাজ্যের ৩০ হাজার বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়ার কথা।এমনকী,চাকরির সেই তালিকাও প্রস্তুত বলে এদিন জানিয়ে দেন তিনি।মূলত,সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রায় ১১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেইমতো কথাও রাখেন তিনি।
সোমবার জেলা সফরের আগে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১১ হাজার বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সঙ্গে এদিন তিনি ‘দুয়ারে চাকরি’ প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন।তিনি বলেন,”আজ থেকে আরও নিয়োগপত্র যাচ্ছে। উত্কর্ষ বাংলার লোগো দেওয়া নিয়োগপত্র যাচ্ছে। আজ ১১ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে। ১৫ তারিখ খড়গপুরে আরও ৭ হাজার নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, শিলিগুড়িতেও এই রকম অনুষ্ঠান করা হবে।প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়ের হাতে এই নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে।”
এছাড়াও যারা এখনও উত্কর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় কারিগরি শিক্ষার কোর্স করেননি তাঁদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, আগামী জব ফেয়ারের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার। তিনি জানান, খড়গপুরের পরে মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, দুর্গাপুর। শিলিগুড়িতেও কর্মমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে চাকরি পাবেন প্রায় ৩০ হাজার জন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমাদের সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন আমার দেখা একটা স্বপ্ন ছিল যে বাংলা বিশ্ব সেরা হবে। কন্যাশ্রীতে সারা বিশ্বের প্রথম পুরষ্কার আমরাই পেয়েছি। দুর্গাপুজোতে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে আর একটা স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। পর্যটনে সবচেয়ে সেরা। এটার পুরস্কার সামনের বছর মার্চ মাসে বার্লিনে দেওয়া হবে। পারলে আমি নিজে যাবো পুরষ্কার নিতে।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বামেদের নিশানা করেন। বলেন, ”৩৪ বছরে সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে সিপিএম। সেই গুলো শুধরে নিতে সময় লাগছে। তবে এবার আপনার বাড়ির দরজায় চাকরি চলে যাবে। তাই যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলছি ভিন রাজ্যে চাকরি জন্য গেলেও দেশের মাটিতে ফিরে আসুন।”
কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, দিল্লির সরকার কর্মসংস্থান চায় না। তারপরেই তিনি বলেন,”এজেন্সি রাজ’ চলছে। বলেন, যখন দেশ জুড়ে বেকারত্ব সমস্যা তখন বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। এমএসএমই’তে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ।”বলেন,”আড়াই কোটি স্কুল ড্রেস তৈরি হচ্ছে এই রাজ্যেই। আরও বলেন, দেউচা পচামি প্রকল্পে হচ্ছে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান।”
আরো পড়ুন:Abhishek Banerjee:এবার ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা!