দেশ যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে পালন করছে (Amrit Mohotsav) অমৃত মহোত্‍সব, তখন সীমান্তে হুইল চেয়ারে বসে থাকার দাদার সঙ্গে দেখা হল প্রিয় বোনের।

সাক্ষী রইল কার্তাপুরের গুরুদ্বার সাহিব। সেই সাক্ষী যাঁরা ছিলেন, তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।

বোন কুলসুমকে জড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন দাদা অমরজিত্‍ সিং। কুলসুম জানান, মায়ের কাছে শুনেছেন ছোটবেলায় ভাইকে হারিয়ে ফেলার কথা। কুলসুম বলেন, তাদের জন্ম পাকিস্তানে।

১৯৪৭-য়ের দেশভাগের সময় বাবা-মা তাদের ফেলে ভারতে চলে আসে। ছেলেকে লালন পালনের দায়িত্ব তুলে দেয় তার বাবার বন্ধু দারা সিংয়ের হাতে।

দারা সিংকে কুলসুমের মা জানায়, তার মেয়ে রয়ে গিয়েছে সীমান্তের ওপারে। রয়েছে এক ছেলে।

কুলসুমের মায়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দারা সিং পারাওয়ান গ্রামে যায়। ওই গ্রামেই কুলসুমের বড় মেয়ের বাড়ি।

অন্যদিকে, দারা সিং কুলসুমের ভাই অমরজিত্‍ সিংকে বড় করে তুলতে থাকে। অমরজিত্‍ সিং এই নামটা দেওয়া দারা সিংয়ের।

সীমান্ত পেরিয়ে পারাওয়ান গ্রামে গিয়ে দারা সিং কুলসুমের খোঁজ পায়। সে জানায়, তাঁর দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই রয়েছে সীমান্তের ওপারে।

আর ছোটভাইয়ের অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, বয়স হওয়ায় কুলসুমের দাদা নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন।

চলা ফেরা করেন হুইল চেয়ারে করে।কুলসুমকে দারা সিং সব কিছু খুলে জানালে কুলসুম তাঁর জীবিত একমাত্র ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে চায়। দারা সিং উভয়কে (Amrit Mohotsav) সীমান্তে মিলিয়ে দেন।