মানবতাই সব থেকে বড় শক্তি।মানবিকতার সঙ্গে কোনো কিছু আপস না করার বৃহস্পতিবার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।মূলত বুধবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার পুজো শুরু একমাস আগেই। কথাটা যে ভুল বলেননি, টের মিলল বৃহস্পতিবার সকালেই শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ – এক মাস আগেই পুজো শুরু হয়ে গেল বাংলায়।দুর্গাপুজোর দীর্ঘ পথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক দুপুর দুটোয় মিছিল শুরুর আগে প্রথা মেনে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন দুপুর ২টো নাগাদ জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয় যাত্রা। এরপর কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছে যায় রেড রোডে।

এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনেরা। ওই মঞ্চে ইউনেস্কোকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন একাধিক দুর্গামূতি।মানবিকতার বার্তার পাশাপাশি দুর্গাপুজোর ফলে রাজ্যের কত মানুষ উপকৃত হন, এদিন তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে সে যায় হোক গত কয়েকদিন ধরেই এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব কার তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের শেষ নেই। আদতে এই বিরাট স্বীকৃতির নেপথ্যে অধ্যাপিকা তপতী গুহঠাকুরতার অবদান। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি তাঁকে কৃতিত্ব না দিয়ে এই স্বীকৃতির ঝোল নিজের দিকে টানছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। সেই পোস্টে দাবি করা হয়, কলকাতার দুর্গাপুজোর স্বীকৃতির পিছনে আসলে কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেসের অধিকর্তা তপতী গুহ ঠাকুরতার হাত আছে।পুরো কৃতিত্বই তাঁর বলে দাবি করতে থাকেন নেটিজেনদের একাংশ।আর এবার রেড রোডের অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চেই তপতী গুহ ঠাকুরতাকে যোগ্য সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান।একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যেও ধন্যবাদ জানানো হয় তাঁকে।

এদিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে তপতীদেবী জানান, ইউনেস্কোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল না তাঁর। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে তাঁকে এই বিষয়ে জানানো হয়। তাদের হয়েই এই কাজটা তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলার হয়েও এই কাজটা করেছিলেন বলে তিনি জানান। যে বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন, ইউনেস্কোর নজরে মূল যে বিষয়টি ছিল, তা এই দুর্গাপুজো সর্বজনীন। এটি বিভিন্ন সম্প্রদায়কে ধরে হয়। বিভিন্ন মানুষের সমাগম হয়। এটা ধর্মীয় উত্‍সবের জায়গা থেকে উঠে এসে সামাজিক সাংস্কৃতিক উত্‍সব, তাঁর ওপরেই জোর দেওয়া হয়।এদিন মুখ্যমন্ত্রীও মঞ্চে বলেন,তপতীদেবী যিনি সোশ্যাল স্টাডিজে কাজ করেন, অনেক রিসার্চ করে সহযোগিতা করেছেন তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:জুন মালিয়ার কাছে শ্রীকান্তকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!