কোন নারী চায় না সুন্দর লম্বা আর ঘন চুল! কিন্তু বাস্তবে বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া, পরিবেশের দূষণ, অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যার কারণে চুল রুক্ষ শুষ্ক আর নির্জীব হয়ে যেন অভ্যাস দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু উপায় অবলম্বন করলেই পেতে পারেন ঘন এবং কালো চুল। সবাই জানেন কারি পাতা রান্নায় ব্যবহার হয় কিন্তু আপনি কি জানেন চুলের যত্নে কারি পাতার অসাধারণ ব্যবহার। তাই এটি ব্যাবহার করলে আপনার চুল থাকবে সাস্থ্যকর।চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতা উপকারী। এটি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করে। এটিতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।আজকে জেনে নিন চুলের কারি পাতার তেলের (curry leaves oil)ব্যবহার।

 

একটি ছোট প্যানে কিছু নারকেল তেল গরম করুন।, 10 থেকে 12টি কারি পাতা দিয়ে সেগুলিকে ফুটতে দিন। যতক্ষণ না আপনি কারি পাতার প্রান্তে কালো হয়ে যেতে দেখেন ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলি গরম করুন। তেলটি একটু ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যাতে, আপনার আঙ্গুল দিয়ে এটি আপনার মাথার ত্বকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন এবং চুলের মধ্যে দিয়েও এটি চালান। সারারাত রেখে দিন এবং সকালে হালকা শ্যাম্পু এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে সপ্তাহে অন্তত দুবার এটি করার চেষ্টা করুন।

 

কিছুটা কারি পাতার ( Curry leaves)সঙ্গে পিয়াজ, জবা ফুল , মেথি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ নারকেল তেল নিন। এরপর এই দুটি উপাদান একসঙ্গে সেদ্ধ করতে থাকুন যতক্ষণ না কালো নির্যাস বের হয়। এবার ওই কালো নির্যাস তুলে নিয়ে চুলে প্রয়োগ করুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এটি ব্যবহার করুন। এতে দ্রুত চুল গজানোর পাশাপাশি চুলের রঙও গাঢ় হবে।

 

 

কারি পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখে। এগুলি মাথার ত্বককে খুশকি এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।তারপর এক কাপ নারকেল তেল ভাল করে গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে, অ্যালোভেরা, সাথে কারি পাতা , পিঁয়াজ আর নিম পাতা তেলে মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ গরম করে, গ্যাস বন্ধ ঠাণ্ডা হতে দিন।ঠান্ডা হলে বোতলে ভরে রেখে দিন। শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে মাথার ত্বকে ভালোভাবে তেল দিয়ে ম্যাসাজ করবেন।

Image source-google