পার্থ জেলে আর কেষ্ট (Anubrata) সিবিআই হেফাজতে। পার্থ’র বাড়ি থেকে প্রচুর সম্পত্তির নথি মিলেছে।
সেই সব সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে পার্থ জেলা থেকে ছাড়া পেলেও রাজনীতিতে কতখানি ফের সক্রিয় হতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
কিন্তু অনুব্রতের বাড়ি থেকে কিছুই মেলেনি এবং তাঁর বিষয়সম্পত্তি নিয়েও কোথাও কোনও গরমিল খুঁজে পাননি সিবিআই আধিকারিকেরা।
তাই আগামী দিনে কেষ্ট ফিরলেও ফিরতে পারেন রাজনীতিতে। তাই এখন কেষ্টকে নিয়ে কার্যত জল মাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
আর এই কারণেই দলের বীরভূম জেলা সভাপতির (Anubrata) পদ থেকে এখনই অনুব্রতকে সরিয়ে দিচ্ছে না তৃণমূল।
তবে তাঁর শূন্যস্থান পূরণে এবার দলের ওই জেলার দায়িত্ব নিজে হাতে তুলে নিতে চলেছেন তৃণমূলের নম্বর টু নেতা তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের সংগঠনে বিস্তর রদবদল ঘটানো হয়। কিন্তু বীরভূমের ক্ষেত্রে কোনও বদল ঘটানো হয়নি।
সেখানে দলের সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলকেই রেখে দেওয়া হয়। এমনকি গতকাল সিবিআইয়ের হাতে কেষ্ট গ্রেফতার হলেও দলের কোনও নেতাই তাঁকে নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করেননি।
উল্টে সৌগত রায়ের মতো দলের প্রবীণ সাংসদ কেষ্টকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন ‘ভাল সংগঠক’ হিসাবে।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলে যাতে ধাক্কা না আসে বীরভূমের মাটিতে, তাই সেখানকার দলের কাজকর্ম ও সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব নিজ কাঁধেই তুলে নিতে চলেছেন অভিষেক।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই বীরভূমে পা রাখতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দলের নেতাদের সঙ্গে করবেন বৈঠক।
এতদিন পর্যন্ত বীরভূমে অনুব্রত একাই সংগঠন সামলাতেন, সেখানে দলের রাশও ছিল তাঁরই হাতে।
কিন্তু, এবার কৌশল বদলাতে পারে দল। সম্ভবত আর কোনও এক ব্যক্তির ওপর ভরসা করা হবে না।
এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে একাধিক নেতাকে। লোকসভা কেন্দ্রের ভিত্তিতে বা মহকুমার ভিত্তিতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।