মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া কালীঘাটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটলো এক কিশোরের। জানা যাচ্ছে বছর ১২ এর ওই কিশোরীর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর পেতেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতার পুর প্রশাসন।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের মৃত্যুর পরেই তৎপরতা বেড়েছে কলকাতা পুরসভায়। জানা যাচ্ছে শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান শেষ করে পুরসভার স্বাস্থ্যবিষয়ক আধিকারিকদের নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে তিনি কলকাতার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আধিকারিকদের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চান।
বৈঠকের পর ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এবং জানান, ‘আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কখনও খুব বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও আবার বৃষ্টি থামলেই প্রবল গরম। এমন আবহাওয়া মশার লার্ভা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ। অদ্ভুত ভাবে গ্রামীণ এলাকায় এ বার শহরের তুলনায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি। কলকাতা পুরসভা কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে।’
সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘এই সময় অনেকের জ্বর হচ্ছে, তাই আমরা প্রচার করব জ্বর হলে বাড়িতে বসে থাকবেন না। পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করান।’
ডেঙ্গুর প্রকোপ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে। জানা যাচ্ছে ডেঙ্গু হলে আক্রান্তদের একটি কার্ড দেওয়া হবে। পুরসভার আধিকারিকেরা ঐ কার্ড ধরে ফোন করে স্বাস্থ্যপরিসেবা প্রসঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন আগামী দিনে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সব পুরসভার চেয়ারম্যান দের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তিনি।