রাজনৈতিক (Politics) ঔদ্ধত্য কোনমতেই বরদাস্ত করবে না দল।একথা আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।শুধু তাই নয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারের পর কার্যত নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এমন নেতানেত্রীদের পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।আর

এরইমধ্যে বারাসাত (Barasat) সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব থেকে বাঁদ দেওয়া হয় বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখার্জিকে (Asani Mukherjee)।তার পরিবর্তে বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়,বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে (Kakoli Ghosh Dastidar)।আর এই পরিবর্তন হওয়ার পরই শুরু হয়েছে বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক চর্চা।

এমন বদলের পরই বারাসাত বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র (Tapas Mitra) বলেন,-“প্রাক্তন বারাসাত সাংসদীয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন অশনি মুখোপাধ্যায়।তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ছিলেন।যার কারণেই তাকে ছেঁটে ফেলেই,দল নিজেদের ভাবমূর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে”। এরসাথে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেরিতে দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।এদিকে এই রদবদল নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএমের সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী (Mrinal Chakraborty) বলেন,-“দলটা চোরের দল।পিসি ভাইপো থেকে শুরু করে পুরো দলটাই চোর।মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য,এইভাবে রদবদল করা হচ্ছে”।

তবে এইসব প্রসঙ্গকে তোয়াক্কা করেননি বারাসাত সাংসদীয় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় (Asani Mukherjee)।তিনি বলেছেন,-“দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই শিরোধার্য।দল যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই কাজ করব।”পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।রাজনৈতিক নেতাদের এমন বক্তব্যকে কোনোভাবে পাত্তাই দিতে চাননি তিনি।তিনি বলেন,-“এরকম কোন বিষয় নেই যারা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তারা এরম বক্তব্য দেয় না নিন্দুকেরাই এরূপ মন্তব্য করে থাকে।”

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:নতুন করে বঙ্গে আরো ৭ টি জেলার ঘোষণা করলেন,মুখ্যমন্ত্রী!