যদি কোন ব্যক্তি একবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরে কোনো কারণে মারা যান তবে সেক্ষেত্রে করোনা কেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সম্প্রতি এমনই রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট(Allahabad HC)। হাইকোর্টে তরফে রায় দেওয়া হয়েছে একবার যদি কোনো রোগী করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরবর্তীকালে মারা যান তাহলে তার মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন অন্য কোন রোগকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট(Allahabad HC) রায় দিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা সংক্রমিত রোগীরা যদি হার্ট ফেইলিওর করে বা অন্য কোন অঙ্গ বিকল হয়ে মারা যান তবে সেক্ষেত্রেও করোনাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আবেদনকারী কুসুম লতা যাদব এবং আরো বেশ কয়েকজনের দায়ের করা রিট পিটিশনগুলি স্বীকার করে বিচারপতি এ আর মাসুদ এবং বিক্রম ডি চৌহান এর ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে এই আবেদনকারীরা গতবছরের জুন মাসে সরকারি আদেশ এর ১২ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই ধারায় বলা ছিল ৩০ দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল ৩০ দিনের সীমাবদ্ধতা করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তাদের বক্তব্য ছিল করোনা সংক্রমিত হওয়ার ৩০ দিন পরেও কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের(Allahabad HC) তরফে রাজ্য সরকারকে ৩০ দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমিত মৃত ব্যক্তিদের নির্ভরশীলদের এক্স গ্রেশিয়া পেমেন্ট দিয়ে দিতে বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যদি ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ না করা হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে সুদ গুনতে হবে।
প্রসঙ্গত, এক্স গ্রেশিয়া পেমেন্ট বলতে বোঝায় বীমা, আইন বা কর্মসংস্থানে এককালীন অর্থ প্রদানের মাধ্যমে কোনো দাবি নিষ্পত্তির একটি উপায়। প্রাপক এটির যোগ্য হলে তবেই এই অর্থ প্রদান করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী যাদের দাবি অনুমোদিত হয়েছে সেই প্রত্যেক আবেদনকারীকে ২৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে।