সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের(India-Bangladesh) মধ্যে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার জন্য পাঁচদিনের উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ হওয়া এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন দুই দেশেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এদিন অর্থাৎ ২১ জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হয়।
বাংলাদেশের পিলখানায় অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলনে দুই দেশের(India-Bangladesh) সীমান্তে শান্তি রক্ষার জন্য একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে হত্যার বিষয়, সীমান্তে হওয়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করার মত বিষয়গুলি উঠে এসেছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে হওয়া আলোচনায়। এছাড়াও সীমান্তে উভয় দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যার ঘটনা কিভাবে পুরোপুরি বন্ধ করা যায় এই বিষয়েও বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যার ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য সীমান্তে যৌথ টহল বাড়ানোর ব্যাপারে দুই দেশই সম্মত হয়। এছাড়াও সম্মেলনে ভারত ও বাংলাদেশ(India-Bangladesh) ঠিক করে সীমান্তের আশেপাশে থাকা মানুষদের মধ্যে সীমান্ত বিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হবে। কাঁটাতার পেরিয়ে যে অবৈধ পাচার চক্র চলে তা বন্ধ করার বিষয়ে কথা হয়েছে এই সম্মেলনে। জানা যাচ্ছে এই অবৈধ পাচার চক্র কঠোর হাতে দমন করার ব্যাপারে আরো তৎপর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা।
বাংলাদেশ হওয়া এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী পঙ্কজ কুমার সিং এর নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের একটি দল। অন্যদিকে বাংলাদেশের তরফে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের নেতৃত্বাধীন ২০ সদস্যের একটি দল।
জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক কাজ গুলি ফের শুরু করতে উদ্যোগী দুই দেশই। এছাড়াও সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুই দেশের সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বিষয়টিও এই সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। আরও জানা যাচ্ছে সম্মেলনে রাজশাহী সীমান্তের চর মাজারদিয়া ও খানপুর এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশের ১.৩ কিলোমিটার চ্যানেল ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।