সব কিছুর দাম বাড়ানোর পাশাপাশি মুড়ি দামেও জিএসটি বাড়ানো নিয়ে ২১ শে জুলাই মঞ্চ থেকে স্বয়ং গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন,’কার হাতে মুড়ি রয়েছে? একটু দাও।’আর সঙ্গে সঙ্গে সেই মুড়ি পেয়েও গিয়েছিলেন তিনি।আর তা হাতে নিয়েই নেত্রী আক্রমণ শানান সোজা বিজেপিকে।

প্যাকেটবন্দি মুড়িতে কেন জিএসটি,এই নিয়েই সরব হন তিনি।প্যাকেট থেকে মুড়ি ট্রেতে ঢেলে তিনি বলেন,এক থালা মুড়ি খাবেন।তাতেও জিএসটি।এরপরেই বিস্ফোরক হয়ে তাঁর প্রশ্ন, মুড়িতেও জিএসটি বসলে মানুষ খাবে কী? আরও প্রশ্ন, বিজেপির কেউ মুড়ি খাবেন না? এদিন তিনি বলেন, ‘আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও’। বলেন ‘ভাত- মুড়ি খেয়ে আমরা বেঁচে থাকি’।বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানানোর পরে প্যাকেটের বাকি মুড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দেবাশিষের এবং নিরঞ্জনের হাতে।

কিন্তু এই দেবাশিষ এবং নিরঞ্জন কে?জানা যায়,পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থেকে এসেছিলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায় এবং নিরঞ্জন পাল।দুজনেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক।তাঁরা নিজেরা টিফিন করার জন্য এনেছিলেন এই মুড়ি।এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন বলেন,’কার হাতে মুড়ি রয়েছে? একটু দাও।’ তখন তাঁরাই জলযোগের জন্য আনা মুড়ি এগিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে।

এদিন তাঁদের গ্রাম থেকে আনা মুড়িই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ব্যবহার করছেন,তা এখনও তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না,এই দুই তৃণমূলের সমর্থক।দেবাশিস বলেন, ‘আমরা যবে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি তবে থেকে ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে কলকাতায় আসছি। গ্রাম থেকে মুড়ি নিয়ে এসেছিলাম টিফিন করব বলে। সেই মুড়ি দিদির হাতের ছোঁয়া পেয়েছে। এই মুড়ি আমরা প্রসাদ হিসেবে ফিরে গিয়ে গ্রহণ করব। কিছুটা মুড়ি যত্ন সহকারে পার্টি অফিসে রেখে দেব।’ অন্যদিকে, নিরঞ্জন বলেন, ‘আমরা আপ্লুত। এই স্মৃতি নিয়েই আমরা গ্রামে ফিরে যাব।’

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:২১ শে জুলাইয়ের সমাবেশকে সামনে রেখে ভিডিও বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!