প্যাকেটজাত ও লেবেলযুক্ত দুধ, দই, ডাল, আটার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে ৫ শতাংশ জিএসটি (GST) চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

যার জেরে আমজনতার পকেটে আরও বেশি করে টান পড়লো বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু এই ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে কেন বসানো হল জিএসটি?

লাগাতার ১৪টি টুইট করে সেই বিষয়টিই ব্যাখ্যা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তার ১৪টি টুইটে, কিছু প্রয়োজনীয় শস্যের একটি তালিকা পোস্ট করেছেন।

অর্থমন্ত্রী লিখেছেন যে, এই খাবারগুলি যদি খোলা অবস্থায় বিক্রি করা হয় তবে তাদের উপর কোনও জিএসটি চার্জ লাগবে না।

অর্থাত্‍ খোলা অবস্থায় সেগুলি কিনলে কোনও ধরনের কর দিতে হবে না। এর মধ্যে রয়েছে ডাল, গম, রাই, ওটস, ভুট্টা, চাল, ময়দা, সুজি, বেসন, মুড়ি, দই এবং লস্যি।

সীতারমণ তাঁর পরবর্তী টুইটে লিখেছেন, খাদ্যদ্রব্যের উপর কর আরোপ নতুন নয়।

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, খাদ্যদ্রব্যে কি এই প্রথম কর বসানো হচ্ছে? জিএসটি (GST) ব্যবস্থা চালু হওয়ার আগে রাজ্যগুলি খাদ্যশস্য থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমানে রাজস্ব সংগ্রহ করতো।

পঞ্জাব একাই ২০০০ কোটি টাকার ওপরে কর সংগ্রহ করেছে। আর উত্তরপ্রদেশ করেছে ৭০০ কোটি।

পরবর্তী টুইটে অর্থমন্ত্রী লেখেন, রাজ্যগুলির দ্বারা সংগ্রহ করা ট্যাক্সের কথা মাথায় রেখে, যখন জিএসটি কার্যকর করা হয়েছিল, তখন ব্র্যান্ডেড আনাজ, ডাল, ময়দার উপর ৫% জিএসটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।

শীঘ্রই এই বিধানের অপব্যবহার করা হয় এবং ধীরে ধীরে এই আইটেমগুলি থেকে GST রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

এই অপব্যবহার আটকাতেই ফিটমেন্ট কমিটি সমস্ত প্যাকেটজাত ও লেবেলযুক্ত পণ্যে একই পরিমান জিএসটি লাগু করার সুপারিশ করে।