গুজরাতের (Gujrat) বিজেপি সরকারকে দুর্বল করার জন্য প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের থেকে নাকি ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)।এমনি বিস্ফোরক দাবি সিটের।বিশিষ্ট সমাজকর্মীর জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা আদালতে এই বয়ান দিয়েছে।

 

গুজরাত (Gujrat) পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) আহমেদাবাদের দায়রা আদালতে দাখিল করা হলফনামায় জানিয়েছে, নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে বা বিব্রত করতে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলেন তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। গুজরাতে নিরীহদের ফাঁসাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। এক সাক্ষীর বয়ান উদ্ধৃত করে পুলিশ দাবি করেছে, ২০০২-এর গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় প্রয়াত আহমেদ পটেলের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।

 

হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, সেই সময় দিল্লিতে জাতীয় রাজনৈতিক দলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতেন তিস্তা শেতলাবাদ (Teesta Setalvad)। শীর্ষ বিজেপি নেতাদের দাঙ্গার মামলায় জড়ানোর পরিকল্পনা করতেন। কংগ্রেসের সঙ্গে তিস্তার সম্পর্ক বোঝাতে ২০০৬ সালের একটি ঘটনার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময় তিস্তা নাকি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন কেন শাবানা ও জাভেদকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হল তাঁকে সুযোগ দেওয়া হল না!

 

তিস্তার জামিনের বিরোধিতা করে সিট জানিয়েছে, তিস্তাকে এখনই ছাড়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত এবং প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করতে পারেন। পুলিশের বক্তব্য শোনার পর অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক ডিডি ঠক্কর জামিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন।

 

কংগ্রেসের (Congress) তরফে বলা হয়েছে, ‘২০০২ গুজরাট হিংসার সময় রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই ঘটনা থেকে নিজের দায় এড়াতেই প্রধানমন্ত্রীর কৌশলের একটি অংশ এটি।’একটি বিবৃতিতে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে একজন মৃতও রেহাই পান না।’

 

আরো পড়ুন:Dilip Ghosh : স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের