জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) হত্যার ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া জাপান থেকে শুরু করে ভারতবর্ষে।এই আবহের মধ্যেই রবিবার চলছে জাপানে ভোটগ্রহণ।কারণ ঘটনাকে গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করেছে জাপানের সবকটি রাজনৈতিক দল। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ অন্যান্য রাজনীতিবিদরা দাবি করেছেন, ওই হত্যাকাণ্ড জাপানের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দিতে পারবে না।
শনিবার জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হল গণতন্ত্রের ভিত্তি। নির্বাচনের সময় বক্তৃতা দেওয়া আটকানোর লক্ষ্যে হিংসার আশ্রয় নেওয়া কখনই মেনে নেওয়া যায় না।’ হিংসার জবাব দিতেই, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার পরও নির্ধারিত সূচি মেনেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। শিনজ়ো আবের হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরদিনই, শনিবার, ফের প্রাক-নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। তবে, আবের হত্যার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা-সহ প্রায় সব জাপানি রাজনৈতিক নেতাদেরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।জাপানে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্যিই অস্বাভাবিক।
সংবাদমাধ্যমের খবর সূত্রে জানা গেছে,রবিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।শেষ হবে রাত আটটায়।জানা গেছে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫.৩ শতাংশ ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন।ভোট শেষ হওয়ার পর প্রকাশিত হবে বুথ ফেরত সমীক্ষা।সমীক্ষা রিপোর্টে দেখার বিষয় একটাই পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে কার দাপটে থাকবে।
প্রসঙ্গত এই দিন দুয়েক আগেই প্রকাশ্যে দিবালোকে আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের (Shinzo Abe) দেহ।গত শুক্রবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি।রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে,শনিবার ভোরে অ্যাবের দেহকে শববাহী যানে করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা করে। হাসপাতালের দুধারে দাঁড়িয়েছিলেন অগনিত মানুষ। তারা অ্যাবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অ্যাবের স্মরণে সোমবার একটি বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার শেষকৃত্য।
আরো পড়ুন:Sujit Basu:বর্তমানে সুস্থ দমকলমন্ত্রী,আজই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে মন্ত্রীকে!