রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে (Governor) সরাতে বিল পাশ হয়েছে।এদিকে এবার আরও একটি ট্রাইব্যুনাল থেকে রাজ্যপালকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

 

ট্রাইবুনালগুলির কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে চায় নবান্ন।তাই এ বার সেই ট্রাইবুনালের নিয়োগ নিজেদের হাতে নিতে চায় সরকার। আর আবারও এমনটা হলে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সঙ্ঘাত অনিবার্য হবে বলেই মনে করছেন এ রাজ্যের রাজনীতির কারবারিরা।

 

জানা যায় দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২২ আজ বিধানসভায় পেশ করবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।আজই বিলটি পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। আর তা হলে এর পর থেকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারবিভাগীয় সদস্যদের নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।

 

উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এই ট্রাইব্যুনাল। এই মুহূর্তে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শঙ্কর আচার্য। আগামী আগস্টে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই ট্রাইব্যুনালে আরও তিনজন জুডিশিয়াল মেম্বার ও তিনজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বার আছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারের একটি পদ এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

 

ইতিমধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের (Governor) বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে একাধিক বিল পাশ হয়েছে। সোমবারই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) বিলও। প্রশাসনিক মহলের খবর, মূলত ট্রাইব্যুনালগুলির শীর্ষপদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপশি, সমস্ত ট্রাইব্যুনালে একইরকম নিয়ম বজায় রাখতেও এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।

 

এখনও এই ট্রাইবুনালের নিয়োগের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যপালের (Governor) হাতেই। কিন্তু আইনে পরিবর্তন ঘটিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য সরকার এই ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ও জুডিশিয়াল সদস্য নিয়োগ করতে চায়।তবে বিলগুলো পাশ করাতে হলে সেই রাজ্যপালেরই সই দরকার। তিনি আদৌ বিলগুলি সই করবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

 

আরো পড়ুন:Aliah University:বিল পাস বিধানসভায়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী!