২ দিনের দিল্লি সফর শেষে আজ কলকাতায় ফিরেই দক্ষিণেশ্বর মন্দির দর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।উদ্বোধন করেন দক্ষিণেশ্বরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো।জানা যায় যা তুলে ধরবে এবার থেকে দক্ষিণেশ্বরের প্রাচীন গল্পগাথা।এদিন দক্ষিণেশ্বরের মঞ্চ থেকে কালীবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রানি রাসমণির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বারবার আবেগতাড়িত হয়ে পড়তে দেখা যায় মমতাকে।
মূলত এদিন দক্ষিণেশ্বরের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র, সুজিত বসু, তাপস রায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিকেলে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী ভবতারিণীর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। তারপর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবশেষে নিজের বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
যেখানে বছরের প্রতিটি দিন হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে। বর্তমানে তৃণমূল সরকারের আমলে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মন্দির চত্বরে ডালা আর্কেড থেকে শুরু করে স্কাইওয়াক তৈরীর মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরকে এক নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর এবার অডিও ভিসুয়াল মাধ্যমে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য শুরু হয়ে গেল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্প।
প্রসঙ্গত, এদিন লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরেই ২৫ মিনিটের একটি শো প্রদর্শিত হয়, যেখানে তুলে ধরা হয় মন্দির সংক্রান্ত সকল ইতিহাস। যা দেখে অভিভূত হয়ে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।পাশাপাশি একটি মিউজিয়ামেরও উদ্বোধন করেন এদিন তিনি।
সূত্রের খবর, এদিন দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধর্ম নিয়ে অশান্তি বরদাস্ত নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ধর্ম নিয়ে অশান্তি সাধারণ মানুষ করে না। কিছু রাজনৈতিক নেতা এই অশান্তি ছড়ায়। বাংলা কারও কাছে ভিক্ষে চায় না।” বিশেষজ্ঞদের মতে, পয়াগম্বর নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণেশ্বর থেকে সকলকে শান্তি বজায় রাখার কথা বলে সহিষ্ণুতার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:দিল্লিতে মমতার ডাকা বৈঠকে থাকছেন না টিআরএস-আপ!