লীগ টেবিলে উঠে আসার এটাই মোক্ষম সুযোগ ছিল চিমাদের কাছে। তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই আজ ক্লাসের লাস্ট বয় “এফ.সি গোয়া” বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব “এস.সি ইস্টবেঙ্গল”। কর্মকর্তা থেকে ফুটবলাররা সকলেই এই ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু মাঠে নামার পরই চিত্রটা পুরোপুরি পাল্টে যায়।
লীগ টেবিলের দশম বনাম একাদশ এর এই ম্যাচে প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটেই গোয়া র দলকে গোল করে এগিয়ে দেন A.Noguera। তারপর ম্যাচের ২৬ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গল কে সমতায় ফেরান A.Perosevic। ম্যাচ কিছু মিনিট গড়ানোর পরই পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ ২-১ করেন গোয়ার J.Ortiz।কিন্তু নাটক তখনও বাকি ছিল,,কিছুক্ষন পরই অর্থাৎ ম্যাচের ৩৭ মিনিটে একটি দারুন গোল করে ইস্টবেঙ্গল কে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন A.Dervisevic। ম্যাচে লিড নেওয়ার জন্য যখন লাল হলুদ ফুটবলাররা মরণপণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন,,ঠিক সেই সময় প্রথমার্ধের একদম শেষের দিকে ম্যাচের ৪৪ মিনিটে A.Perosevic এর ভুলে আত্মঘাতী গোলে ইস্টবেঙ্গল আবার পিছিয়ে পড়ে ৩-২ গোলে।
শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধ,,খেলা কিছুটা গড়ানোর পরই দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে A.Perosevic একটি দুর্দান্ত গোল করে নিজের আত্মঘাতী গোলের লজ্জা কিছুটা হলেও নিবারণ করেন,,স্কোর লাইন হয়ে যায় ৩-৩। অন্যদিকে আজ গোয়ার ফুটবলাররা ঠিক করেই মাঠে নেমেছিলেন যে যেকোনও মূল্যে আজ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়বেন। সুতরাং,,ম্যাচ জমে ওঠে।দুই দলের ফুটবলাররাই মরণ কামড় দিতে থাকেন,,একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকেন। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে গোয়ার হয়ে কাজের কাজটি করে যান ম্যাচের প্রথম গোলদাতা A.Noguera,, ম্যাচের ৭৯ মিনিটে তিনি ইস্টবেঙ্গল এর কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে এই ম্যাচের যবনিকা টানেন। এরপর লাল হলুদ বাহিনী বিপক্ষের বক্সে একের পর এক আক্রমণ করেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় এবং এই টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত এফ.সি গোয়া ৪-৩ গোলে জিতে লীগ টেবিলে একধাপ ওপরে উঠে আসে এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি চলে যায় টেবিলের একেবারে তলানি তে।
যাই হোক,,আগামী ম্যাচগুলো ইস্টবেঙ্গল এর কাছে যে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এইরকম অবস্থা থেকে হীরা মন্ডলরা কিভাবে ঘুরে দাঁড়ান এখন সেটাই দেখার।।