বেশ কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তিনবছর পর আবারও ঘাসফুলে ফিরেছেন সংসদ অর্জুন সিং।বিজেপি ছেড়ে অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে সোমবার সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।যেখানে উপস্থিত ছিলেন,মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,মন্ত্রী রথীন ঘোষ,মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,দমকল মন্ত্রী,সুজিত বোস,ব্রাত্য বসু,কাকলি ঘোষ দস্তিদার,তাপস রায়,পার্থ ভৌমিক,সংসদ অর্জুন সিং,পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস,উত্তম দাস সহ অন্যান্যরা।এদিন এই মঞ্চ থেকেই বিজেপি থেকে শুরু করে রাজ্যপালকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন অভিষেক।

 

মূলত হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। রবিবার সেই নিয়ে ‘সীমা লঙ্ঘন’ করার অভিযোগ তোলেন রাজ্যপাল।এরপর সোমবার শ্যামনগরের সভা থেকে পাল্টা রাজ্যপালের জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

তিনি এদিন বলেন,বিচারব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্যপাল বলেছেন, আমি নাকি সীমারেখা অতিক্রম করেছি। এরপরই তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে কে?তৃণমূল সাংসদের দাবি, আমি বলেছিলাম, বিচার ব্যবস্থায় ৯৯ শতাংশ লোক খুব ভালো। ১ শতাংশ খারাপ। এটাতো যে রাজনৈতিক দলেও হয়ে থাকে। তাঁর কথায়, বিচার ব্যবস্থায় এই ১ শতাংশ লোক আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বা যাঁরা সরকারের নিয়ন্ত্রণ ভূমিকায় রয়েছেন, তাঁদের কথা শুনে কাউকে কাউকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আমি বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বললে তার উত্তর দিচ্ছেন রাজ্যপাল। তার মানে ঠিক জায়গায় গিয়ে ঢিলটা লেগেছে। খোঁচা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘মৌচাকে ঢিল পড়েছে।ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি’।

 

অভিষেক আরও বলেন, রাজ্যপাল বলছেন, এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত দেওয়ায় আমার নাকি গায়ে জ্বালা ধরছে। আমার কোনও গায়ের জ্বালা নেই। এসএসসি, পিএসসি, সারদা, নারদা যাতে ইচ্ছা সিবিআই দিতে পারে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআই-ইডিকে সামনে রেখে রাজনীতি করে না। মানুষের দাবিকে সামনে রেখে রাজনীতি করে। সবেতে সিবিআই দিতে পারে। কিন্তু সিবিআয়ের গ্রহণ যোগ্যতা কোথায়?

 

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন, দিলীপ ঘোষ আপত্তিজনক মন্তব্য করেন তখন রাজ্যপালের বিবেক দংশন হয় না কেন? অভিষেক বলেন, আমি বিচার ব্যবস্থাকে শ্রদ্ধা করি। বিচার ব্যবস্থাকে অবমাননা করছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুরা।

 

আরো পড়ুন:Mamata : মুখ্যমন্ত্রীর পুরুলিয়া সফর, রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক