পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar controversial remark)। ভবানীপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা পশ্চিমবঙ্গের আইনটাকে সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে পরিণত করেছেন।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এহেন মন্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই ভাষা একজন জনপ্রতিনিধির হতে পারে? এটা নারীবিদ্বেষ নয় তো কী! রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি রাজ্যের বহু মা-বোন, যাঁরা পেটের দায়ে যৌনপেশায় জড়িয়েছেন, তাঁদের পেশাকে হেয় করলেন।” তাঁর আরও বক্তব্য, “সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কার মানে বোঝেন সুকান্ত মজুমদার? কতটা যন্ত্রণা, লড়াই, অপমানের মধ্যে দিয়ে তাঁদের চলতে হয়, তা কি তিনি জানেন? বিজেপি আসলে মা-বোনেদের সম্মান করতে জানে না। আগে একজন বলেছিলেন বীরবাহা হাঁসদাকে ‘জুতোর তলায় রাখা উচিত’, আর এখন এহেন কুৎসিত তুলনা!”
তৃণমূলের তরফে আরও অভিযোগ, এই ধরনের মন্তব্য শুধু নোংরা রাজনীতির পরিচয় নয়, এটি বিজেপির মজ্জাগত নারী-বিরোধী মানসিকতারও প্রকাশ। দলের আইটি সেল প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য তীব্র কটাক্ষ করে লেখেন, “হে বিজেপি, পোড়া মুখ কত হবে কালো! অনুব্রতে অপরাধ, সুকান্তে ভালো!” এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেন, অনুব্রত মণ্ডলের আইসি-কে ফোনে দেওয়া অশালীন মন্তব্য নিয়ে যেভাবে বিজেপি ও জাতীয় মহিলা কমিশন সরব হয়েছিল, তেমনটাই এবারও হওয়া উচিত।
এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের দাবি, অনতিবিলম্বে সুকান্ত মজুমদারকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁদের কথায়, “যৌনকর্মীদের পেশাকে কটাক্ষ করা আর নারীকে অপমান করা এক বিষয়। এর নিন্দা সর্বস্তরে হওয়া উচিত।”
তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar controversial remark) ওই মন্তব্যের কোনও আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যদিও অন্দরমহলের সূত্র জানাচ্ছে, সুকান্ত তাঁর বক্তব্যে অনড় এবং তিনি রাজ্যে পুলিশের ভূমিকার বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন। তাঁর মতে, পুলিশ রাজনৈতিক নির্দেশেই কাজ করছে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
আরো দেখুন:Sachin Tendulkar: ‘সিতারে জমিন পরে’ দেখে মুগ্ধ শচীন, জানালেন আবেগঘন প্রতিক্রিয়া