ভোট পর্ব শেষ হলেও বিতর্কের পারদ এখনও চড়ছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ‘স্বচ্ছ্বতা’ নিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তিনি দাবি করেছিলেন, কমিশনের যদি গোপন কিছু না থাকে, তবে কেন ৫টার পর বুথে কী হয়েছে তার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হবে না? এরই জবাবে কমিশন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়কে সামনে এনে জানিয়ে দিল সেটা সম্ভব নয়।
কমিশনের ব্যাখ্যা, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা মানে সরাসরি ভোটদানের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আশঙ্কা। যদিও দেখা যাবে না কে কাকে ভোট দিচ্ছেন, কিন্তু কারা ভোট দিয়েছেন বা দেননি, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। যা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের মতো হয়ে দাঁড়াবে। সুপ্রিম কোর্টও পূর্বে রায়ে বলেছে—ভোট দেওয়া যেমন নাগরিকের অধিকার, তেমনই ভোট না দেওয়াও একজনের নিজস্ব ব্যক্তিগত অধিকার।
রাহুল গান্ধীর দাবি মেনে চললে, না শুধু এই গোপনীয়তা ভাঙবে, বরং কোনও ভোটারের অনুমতি ছাড়া তাঁর ভিডিও প্রকাশ করার মতো সাংবিধানিক সীমারেখাও লঙ্ঘিত হবে বলে মনে করছে কমিশন।
এটাই প্রথম নয়। রাহুল দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই মাসের শুরুতেই তিনি একাধিক মিডিয়াতে লেখেন—মহারাষ্ট্রে “ভোটে ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে”। ভুয়ো ভোটার তালিকা, বুথে অনিয়ম, ইভিএম কারচুপির মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, যেখানে যেখানে বিজেপির জয় জরুরি ছিল, সেখানেই বেআইনি ভোট বেড়েছে!
এই অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে কমিশন জানায়, সব ভোট কেন্দ্রে কংগ্রেসের অনুমোদিত এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। তারা কোনও অসামঞ্জস্যতা নিয়ে সরাসরি আপত্তি জানাননি। তাহলে এখন কেন অভিযোগ?
আরও পড়ুন:Sukanta Majumdar controversial remark:রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশকে কুরুচিকর আক্রমণ সুকান্তর!