সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) -এর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi Grand Cross honour) প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে সাইপ্রাসকে বেছে নেওয়া আন্তর্জাতিক মহলে কৌশলগত বার্তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাইপ্রাসে পৌঁছেই নরেন্দ্র মোদী পেয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান “গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ ম্যাকারিয়াস তৃতীয়”। এই সম্মান তিনি উৎসর্গ করেছেন ভারতবাসী ও ভারত-সাইপ্রাস বন্ধুত্বের প্রতি।

নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেন, “এই সম্মান শুধু আমার নয়, ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। এ আমাদের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাসের স্বীকৃতি।”

সাইপ্রাস বরাবরই ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদে সমর্থন জানিয়েছে, ভারত-মার্কিন অসামরিক পারমাণবিক চুক্তিকে সমর্থন করেছে এবং NSG-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি চেয়েছে। সম্প্রতি ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দাও করেছে সাইপ্রাস।

অন্যদিকে, তুরস্ক বারবার কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে চাপে ফেলতেও সক্রিয় থেকেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তুরস্ক-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা এবং সাইপ্রাস-তুরস্ক দ্বন্দ্বের আবহে নরেন্দ্র মোদীর সাইপ্রাস সফর শুধুই দ্বিপাক্ষিক সৌজন্য নয়—এটি এক পরোক্ষ কূটনৈতিক বার্তাও।

এই সফর ভারতের বৃহত্তর কূটনৈতিক কৌশলের অংশও। ‘ফার্স্ট নেবারহুড’ নীতি অনুসারে ভারত তার ঐতিহ্যবাহী ও নির্ভরযোগ্য মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চায়। সাইপ্রাস সেই তালিকায় উজ্জ্বল উদাহরণ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সফরের মাধ্যমে ভারত শুধু ভূ-রাজনৈতিক স্তরে বার্তা দিচ্ছে না, পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নিজের কৌশলগত উপস্থিতি জোরদার করছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর (PM Modi Grand Cross honour) সাইপ্রাস সফর ভারতের কূটনৈতিক পরিণতি, মিত্রতা ও কৌশলগত গভীরতার এক নতুন অধ্যায়। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান অবস্থান এবং প্রতিবেশী অঞ্চলগুলিতে প্রভাব বিস্তারের সুপরিকল্পিত কৌশল হিসেবেই এই সফর ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে বিশ্বের।

 

আরো দেখুন:Mamata Banerjee fire compensation:খিদিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড:পুড়ে ছাই ১৩০০ দোকান,মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতেও ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *