এই বছর প্রথমবারের জন্য দিঘার জগন্নাথ ধামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঐতিহাসিক রথযাত্রা। ২৭ জুন রথযাত্রার মূল দিনে প্রায় ২ লক্ষ পুণ্যার্থীর আগমন হতে পারে বলে অনুমান, আর সেই কারণেই দিঘাকে ঘিরে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর নির্দেশ জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee Rathayatra)।
বৃহস্পতিবার নবান্নে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “রথযাত্রা যেন জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের দিনের মতোই সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য কোনো খামতি রাখা যাবে না।” নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন, অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম, সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যান চলাচলেও থাকবে বিশেষ নিয়ম।
রথযাত্রার দিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee Rathayatra) নিজেই এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন। পুরীর ঐতিহ্য মেনে, তিনি সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে ‘পাহান্দি বিজ’ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। ইতিমধ্যেই তিনটি সুবিশাল রথ—নন্দঘোষ, তালধ্বজ ও দেবদলন—তৈরি। ভক্তদের জন্য রথের রশিতে টান দেওয়ার প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ।
ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও রথযাত্রা দিঘার পর্যটনের জন্য এক নতুন মাত্রা তৈরি করছে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হয়েছে মাসিরবাড়ি মন্দির, যেখানে সাত দিন অবস্থান করবে রথ। এই সময় মহাপ্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও চলবে।
এছাড়াও, ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে ‘স্নানযাত্রা’ উৎসব এবং এরপর শুরু হবে মূর্তির অনসরকাল। ২৬ জুন নবযৌবন ও নেত্র উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা পৌঁছাবে তার চূড়ান্ত পর্বে।
দিঘার জগন্নাথ ধামকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই উৎসব ধর্মীয় ভক্তি ও পর্যটনকে মিলিয়ে এক নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায় তৈরি করতে চলেছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা দেশ থেকে ভক্ত ও পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন এই পূণ্যলগ্নে অংশ নিতে।