যখন দেশ জুড়ে রক্ত ঝরে, তখন রাজনীতি নয়, প্রয়োজন সম্মান আর দায়িত্বের। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর, রাজ্য বিধানসভায় এক বিরল উদ্যোগে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি প্রস্তাব আনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, “দেশপ্রেম মানে শুধু সেনার নাম নিয়ে ভোটের আগে ‘মার্কেটিং’ করা নয়। নির্বাচন এলেই যেন একটা পুলওয়ামা দরকার হয়ে পড়ে—এটা আর যেন না হয়!”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পহেলগাঁওয়ে যেখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিল, সেখানে এত বড় জঙ্গি হামলা কীভাবে ঘটে গেল? কেন কেন্দ্র আরও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না?” সেইসঙ্গে শহিদ সেনাদের সম্মান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, “সেনারা আমাদের গর্ব, তাদের আত্মত্যাগের রাজনৈতিক ফায়দা তোলা লজ্জাজনক।” ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সেই ঘটনায় তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বিস্ফোরক মন্তব্য—যেখানে তিনি সরাসরি মোদি সরকারের উপর দায় চাপিয়েছিলেন, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং অবহেলার অভিযোগে। বিধানসভায় সেই উক্তিকে সামনে এনে মমতা বলেন, “সত্য বললে মিথ্যা চাপা যায় না। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে।”
প্রস্তাবের পক্ষে দাঁড়ালেও বিজেপির কিছু সদস্যের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মমতার কটাক্ষ, “বিরোধী দলনেতা হয়ে যিনি মিথ্যা বলেন, তার লজ্জা থাকা উচিত। দেশের প্রতি ভালবাসা শুধু স্লোগানে নয়, কাজে প্রমাণ করতে হয়।”শেষে তিনি বলেন, “বাংলা আজ আবার পথ দেখাচ্ছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গলা তুলছে। অন্য রাজ্যও এই উদাহরণ অনুসরণ করুক—এই হোক আমাদের একতা ও দেশভক্তির প্রকৃত রূপ।”
আরও পড়ুন:Mental Health: নিজেকে হারানোর আগে খুঁজে পান মানসিক স্বস্তি