বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। ধীরে ধীরে সিরিয়াল থেকে সিনেমা, এমনকি বলিউডেও কাজ করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নিজের চরিত্রগুলিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বারবার নিজেকে ভেঙে গড়েছেন ঋতাভরী। তবে শুধু অভিনয়েই নয়, নিজের স্পষ্ট বক্তব্য ও প্রতিবাদী মানসিকতার জন্যও বারবার চর্চায় থেকেছেন তিনি।

টলিপাড়ায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার কথা বলেছেন ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty)। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের পরিবেশ আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ করতে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির হেমা কমিটির মতো একটি প্রকল্প গড়ার কথাও ভাবছেন তিনি। তবে তাঁর মতে, শুধু কমিটি গঠন করলেই হবে না, আগে মানসিকতার বদল প্রয়োজন।

 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঋতাভরী বলেন, “জোর দিয়ে বলতে পারি, ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু ট্যালেন্ট থাকলে কাজ পাওয়া যায় না। খুব খারাপ লাগছে বলতে, কিন্তু সত্যি এটাই—অনেকে শুয়ে কাজ পেয়েছেন, কেউ আবার কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু এর ফলে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে।”

 

তাঁর অভিমত, “অনেকেই ভাবে, সিনেমা করে মানেই শরীর দিতে বাধ্য। রিভিলিং পোশাক মানেই চরিত্র খারাপ। এই মানসিকতা বদলানো সবচেয়ে জরুরি। আমি চেষ্টা করছি, কিন্তু এটা একদিনে সম্ভব নয়। হয়তো পুরো প্রক্রিয়ায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যাবে। তবে থেমে গেলে চলবে না।”

 

ঋতাভরীর কথায় স্পষ্ট, তিনি শুধু একজন অভিনেত্রী নন, বরং একটি বড়ো পরিবর্তনের মুখ হয়ে উঠতে চান। তাঁর লড়াই চলছে—নারীদের জন্য আরও সম্মানজনক, নিরাপদ ও সমান সুযোগের জায়গা তৈরির লক্ষ্যে।

আরো পড়ুন: Narendra Modi Nari Shakti:’নারী শক্তি’র জয়গান মোদীর মুখে,মণিপুর নিয়ে ‘নীরবতা’য় বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ!

Image source-Google

By Torsha

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *