দেশের নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জোড়া বার্তায় আজ বিহারের কারাকাট জনসভায় এক অসাধারণ প্রভাব ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi Bihar speech)।একদিকে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই জারি রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেন,অন্যদিকে বিহারের জন্য ৪৮,৫২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করে রাজ্যের অগ্রগতির প্রতি তাঁর সরকারের দায়বদ্ধতা তুলে ধরলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ভাষণের এক উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন।তিনি জোর দিয়ে বলেন,-“অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি তীর মাত্র,যা দিয়ে সন্ত্রাসের ডেরায় আঘাত করা হয়েছে।এই লড়াই চলবে।”শত্রুরা ‘অপারেশন সিঁদূরের’ তীব্রতা কতটা অনুভব করেছে, সেকথাও তিনি উল্লেখ করেন।মোদী বলেন,সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের এই লড়াই যেমন বন্ধ হয়নি,তেমনি শেষও হয়ে যায়নি।তিনি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন,যদি সন্ত্রাসবাদ আবারও মাথা তোলার চেষ্টা করে,তাহলে তার দাঁত,নখ সব ভেঙে দেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জঙ্গিদের সতর্ক করে বলেন যে,-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই শেষ হয়নি, তাই তাদের সাবধানে থাকতে হবে।তিনি স্পষ্ট করে দেন,-সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগোবে না,এমনকি সিন্ধু জল চুক্তিও স্থগিতই থাকবে।মোদী সরকারের তরফে ইসলামাবাদকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে,-সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ভারত কখনও আপস করবে না।প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে,-আজ বিশ্ব ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে করা হয়েছে।তিনি বলেন,-“আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত।সীমান্ত থেকে শুরু করে সাইবার স্পেস পর্যন্ত,দেশের প্রতিটি ইঞ্চি সুরক্ষিত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।”প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi Bihar speech) জোর দেন,ভারত কেবল নিজেদের দেশের সুরক্ষাই নিশ্চিত করছে না,বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,যা সন্ত্রাসবাদকে দমন করার মাধ্যমেই সম্ভব।
একই মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী বিহারের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেন।তিনি ৪৮,৫২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।এর মধ্যে রয়েছে ২৯,৯৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবীনগর সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (দ্বিতীয় পর্যায়), যার লক্ষ্য বিহার ও পূর্ব ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।এছাড়াও,পাটনা-আরা-সাসারাম সেকশনের চার লেনে উন্নীতকরণ,বারাণসী-রাঁচি-কলকাতা হাইওয়ের ছয় লেনে উন্নীতকরণ এবং নতুন গঙ্গা সেতুর নির্মাণ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে।রেল খাতেও সন নগর-মোহাম্মদ গঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৃতীয় রেল লাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে।বিমানবন্দর উন্নয়নেও জোর দেওয়া হয়েছে পাটনা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন এবং বিহটা বিমানবন্দরে নতুন সিভিল এনক্লেভের (প্রায় ১,৪১০ কোটি টাকা) শিলান্যাস করে,যা পাটনা আইআইটি এবং প্রস্তাবিত এনআইটি পাটনা ক্যাম্পাসের মতো শিক্ষা কেন্দ্রগুলিকে পরিষেবা দেবে।