মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর শেষ পর্যন্ত মাথা নোয়ালেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal apology )।বেঁধে দেওয়া ৪ ঘণ্টার ডেড লাইনের আগেই পুলিশের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন তিনি।তবে তাঁর এই ক্ষমা প্রার্থনার চিঠিতে উঠে এসেছে নতুন বিতর্ক,যেখানে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের ঘটনাকে “চক্রান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন।এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য এবং তাঁর বিতর্কিত কার্যকলাপ আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।শুক্রবার দুপুরে দেওয়া ক্ষমা প্রার্থনার চিঠিতে অনুব্রত মণ্ডল তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে,-তিনি বিভিন্ন রকম ওষুধ খাচ্ছিলেন,যার প্রভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আসায় তাঁর মেজাজ বিগড়ে যায় এবং তিনি আপত্তিকর মন্তব্য করে ফেলেন।তিনি এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত বলে জানিয়েছেন।যদিও চিঠিতে সরাসরি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের নাম উল্লেখ করেননি,তবে গত কয়েকদিনে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ থেকে স্পষ্ট যে তাঁর বিরুদ্ধেই এই মন্তব্য করা হয়েছিল।এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বারবার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের কাছে তিনি একবার নয়,”১০০ বার” ক্ষমা চাইতে পারেন, যা তাঁর প্রতি দলীয় নেত্রীর কড়া অবস্থানের প্রতি আনুগত্যের ইঙ্গিত দেয়।
এই ক্ষমা চাওয়ার প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দিল,দলনেত্রী এবং দলের শৃঙ্খলা তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।ক্ষমা চাওয়ার সঙ্গেই অনুব্রত মণ্ডল এই অডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনাকে গভীর চক্রান্তের অংশ বলে দাবি করেছেন।তাঁর প্রশ্ন,-“তিনটে মহকুমায় বিরাট মিছিল দেখে কেউ কি ভয় পেয়েছে।”এই মন্তব্য করে তিনি স্পষ্টতই ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে,সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন হয়তো প্রতিপক্ষকে আতঙ্কিত করেছে।এখানেই তিনি থেমে থাকেননি।তিনি বিজেপির দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন,যদিও সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি।তাঁর দাবি, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal apology) আরও প্রশ্ন তুলেছেন, বোলপুরের আইসির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কথোপকথনের অডিও কিভাবে ভাইরাল হলো,এবং কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে।এই প্রশ্নগুলি ঘটনার জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তদন্তের দাবি তুলেছে।তিনি পরোক্ষভাবে বোঝাতে চেয়েছেন যে,এই অডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত ত্রুটি নয়,বরং তাঁকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।