বুধবার এক শান্ত সাঁঝে, কলকাতার ভবানীপুরের কাঁসারিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাতে পুজোর ডালি, তাতে লাল টুকটুকে শাড়ি, মিষ্টি ও অন্যান্য সামগ্রী—সব মিলিয়ে ভক্তির নিদর্শন। মন্দির চত্বরে পা দিয়েই বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নম্র প্রণাম। যেন মাতৃচরণে নতমস্তকে নিবেদন এক নিবিড় ভালোবাসা।
‘দিদি’ এসেছেন শুনে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহের ঢল নামে। মুহূর্তে ভিড় জমে যায় মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দির কমিটি সাদরে স্বাগত জানায় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandev Chatterjee), যিনি এক সময় এই পাড়ারই বাসিন্দা।
মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে স্মৃতিমেদুর মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “এই গলিগুলো আমার খুব চেনা। এখানেই একসময় স্কুলে পড়াতাম। এখানেই একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল তৈরি করেছি।” অতীতের স্মৃতিচারণায় তাঁর কণ্ঠে মিশে যায় আবেগ।
পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে শোনা যায় ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলার প্রতিটি পাড়া, প্রতিটি গৃহে শীতলা পুজোর সংস্কৃতি আছে। মা আমাদের ঠান্ডা রাখেন, নিরোগ রাখেন, শান্তি দেন। ওনার মতো সার্বজনীন দেবীর নাম সবার মুখে মুখে।”
প্রার্থনায় জানালেন, “মা, সকলের মঙ্গল করো। আর যেন কঠিন রোগ কারও জীবন না কাড়ে। শান্তি ও সুস্থতা থাকুক সর্বত্র।”
শেষে মমতা বলেন, “ধর্ম শুধু ভক্তির নয়, শিক্ষারও পথ। মা মানে আশ্রয়, মা মানে গ্রহণযোগ্যতা। মা কাউকে ফিরিয়ে দেন না, বরং কাছে টেনে নেন সবাইকে।”
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: সিঙ্গাপুরে ইতিহাস ও আধ্যাত্মিকতার সন্ধানে অভিষেক!