অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিদেশ সফর এবার এক নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছে—যেখানে ইতিহাস, কূটনীতি ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে জনমত গড়ে তুলতে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাপান সফর সেরে সোজা সিঙ্গাপুর পৌঁছান তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান ঐতিহাসিক ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA)-র মেমোরিয়ালে। যদিও সংস্কারের কাজ চলায় ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি, তবুও বাইরে থেকেই তিনি শহিদদের প্রতি সম্মান জানান।
এরপর তিনি যান সিঙ্গাপুরের (Singapore) রামকৃষ্ণ মিশনে। আধ্যাত্মিকতায় মোড়ানো সেই পরিবেশে তিনি দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। মিশনের মহারাজের সঙ্গে একান্তে আলোচনা করেন। স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী রামকৃষ্ণ এবং মা সারদা দেবীর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত করেন অভিষেক। মন্দিরে প্রণাম করে, আধ্যাত্মিক শান্তির অনুভূতি নিয়েই তিনি ফিরে আসেন।
এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি লেখেন, “সিঙ্গাপুরের রামকৃষ্ণ মিশন দর্শন ছিল এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি পথপ্রদর্শক, যেখানে আধ্যাত্মিকতা এবং মানবসেবার নিখাদ মিলন ঘটে। স্বামীজির দর্শন ও তাঁদের শিক্ষা আমাকে জীবনের প্রতিটি ধাপে প্রেরণা জুগিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সফর আমাকে মনে করিয়ে দিল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কেবল রাজনৈতিক বা সামরিক নয়, এটি একটি গভীর নৈতিক দায়িত্ব। শান্তির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা যেন কখনোই কমে না।”
জাপানে তিনি যেমন রাসবিহারী বসুর সমাধিতে গিয়ে ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, তেমনই সিঙ্গাপুরেও আইএনএ ও রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে ইতিহাস ও মানবতার পথকে সম্মান জানালেন—এক অনন্য কূটনৈতিক ও আধ্যাত্মিক যাত্রার সাক্ষী হয়ে।