কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) প্রাথমিকভাবে আন্দোলনকারীদের বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও, আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাদের অবস্থান বজায় রেখেছেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার আদালতে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে, এই আন্দোলনের ফলে বিধাননগরের অন্তত ৫৫টি সরকারি অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রবীণ আইনজীবী ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অফিসপাড়ার পরিবেশ পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে। আইনজীবীরাও সেখানে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারছেন না। অবিলম্বে এই অবরোধ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গ্রুপ-ডি কর্মী সুদীপ কোনার এই শিক্ষকদের আন্দোলনে কীভাবে যুক্ত রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর দাবি, “আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।”
অন্যদিকে, মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, মামলাটি যেন আপাতত স্থগিত রাখা হয় এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পরে জুন মাসে পুনরায় শোনা হয়।
তবে বিচারপতি ঘোষ জানিয়ে দেন, পুলিশের জমা দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তিনি শুক্রবার এই বিষয়ে নির্দেশ দেবেন। ফলে শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং আদালতের চূড়ান্ত নির্দেশে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিক নির্ধারিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ভোটার তালিকায় গরমিল: প্রশাসনিক কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা