উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ফের একবার ভোটার তালিকার অনিয়ম নিয়ে প্রশাসনকে কঠোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার উত্তরকন্যায় অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, একাধিক ব্যক্তির নামে একাধিক ঠিকানায় নাম উঠে আসছে ভোটার তালিকায়। তিনি বলেন, “একজন ব্যক্তির তিন জায়গায় নাম কীভাবে থাকতে পারে? যারা এই কাজ করছে, তাদের খুঁজে বার করুন।”
তিনি স্পষ্টতই জানান, এই গরমিলের পেছনে প্রশাসনের একাংশের ভূমিকা সন্দেহজনক। তাঁর কথায়, “সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। যারা ভোটার তালিকা তৈরি ও সংশোধনের কাজে যুক্ত, তাদের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—তবে কি প্রশাসনের মধ্যেই কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম ঢোকাচ্ছে?
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি মুর্শিদাবাদে এক প্রশাসনিক দফতরে যান, কিন্তু সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে দেখতে পাননি। এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে সঠিক সময়ে কে কাজ করছে?”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন—বলেন, “বাইরের লোকজন এসে তৃণমূলের কর্মী ও পুলিশদের সঙ্গে আলাপ করে তাঁদের পরিচয় এবং তথ্য জেনে নিচ্ছে।” এই বিষয়ে সবাইকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
ভুয়ো ভোটার তালিকা নিয়ে রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই একটি ‘ভূতুড়ে ভোটার’ খুঁজে বার করার কোর কমিটি গঠন করেছেন। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ৩৬ সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক বিধায়ক। তাঁদের কাজ হবে সন্দেহভাজন ভোটারদের চিহ্নিত করে সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা।