পহেলগাঁও জঙ্গি হানার ক্ষত এখনও দগদগে।আর সেই ক্ষতকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে সুর চড়ানোর ‘মিশন’-এ কেন্দ্র তৈরি করেছিল সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল।কিন্তু সেখানেও ‘রাজনৈতিক নাটকের’ ক্লাইম্যাক্স!তৃণমূলের ‘পোস্টার বয়’ ইউসুফ পাঠানকে ‘বাতিল’ করে কেন্দ্রকে ‘কড়া বার্তা’ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।বহরমপুরের সাংসদ,প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের নাম প্রস্তাবিত হলেও,শেষ মুহূর্তে ‘রহস্যময়’ ইউ-টার্ন!তৃণমূল জানিয়ে দিল,ইউসুফ যাচ্ছেন না।এই ‘রাজনৈতিক ধোঁয়াশা’র মধ্যেই ঝাঁঝালো জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় আক্রমণ শানালেন,-“তৃণমূলের প্রতিনিধি কে হবেন,সেটা ঠিক করার অধিকার একমাত্র তৃণমূলেরই।বিজেপি কে।”তাঁর অভিযোগ,-“পহেলগাঁও ইস্যুতে কেন্দ্রের সমস্ত পদক্ষেপের পাশে তৃণমূল থাকা সত্ত্বেও,একবিন্দু আলোচনা না করে দলের প্রতিনিধির নাম কী করে ঠিক করল বিজেপি।দৌত্যের ক্ষেত্রে কে যাবে,সেটা দলের সিদ্ধান্ত।এটা বিজেপি ঠিক করে দিতে পারে না।”
শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ইউসুফ পাঠানকে ফোন করে বিদেশ সফরের বিষয়টি জানান এবং তাঁর পাসপোর্ট-সহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের ‘ভোলবদল’,সম্পর্কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ব্যাখ্যা,-“কাউকে ছোট না করেই বলতে চাই,ওই প্রতিনিধি দলে এমন একজনের থাকা উচিত,যিনি সবদিক থেকে দলকে ভরসা জোগাতে পারবেন।দলের কী নীতি,আভ্যন্তরীণ বিষয়,সর্বভারতীয় বিষয়ে ব্যাখ্যা যিনি যথাযথভাবে দিতে পারবেন।”অর্থাৎ,জাতীয় নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও ‘দাদাগিরি’ দেখাতে নারাজ তৃণমূল।’ঘরের লোক’-এর উপরই আস্থা রাখছে দল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্য স্পষ্ট করে দেয়,-জাতীয় নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও নিজেদের ‘স্পেস’ ছাড়তে নারাজ তৃণমূল।তিনি আরও বলেন,-“একজন চাইলে পাঁচ জনের নাম আমরা দেব।কিন্তু সেটা তো দলের সিদ্ধান্ত।মনে রাখবেন,তৃণমূলই একমাত্র দল,যে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে সবরকম সমর্থন জানিয়েছে,স্রেফ জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে।”তৃণমূলের এই ‘কড়া’ অবস্থানের পর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে,পহেলগাঁও মিশনে ইউসুফ পাঠানকে বাদ দিয়ে তৃণমূল কাকে পাঠায়।আর কেন্দ্রের সঙ্গে এই ইস্যুতে তৃণমূলের ‘ঠান্ডা লড়াই’-এর জল কতদূর গড়ায়।বিশ্লেষকদের মতে,-অভিষেকের এই ‘কড়া বার্তা’ কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে নতুন করে ‘রাজনৈতিক টানাপোড়েন’ তৈরি করতে পারে।