বিকাশ ভবনের (Bikash Bhavan) সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান-বিক্ষোভের নামে গত বৃহস্পতিবার কার্যত তাণ্ডব চালান নিজেদের ‘যোগ্য’ বলে দাবি করা চাকরিপ্রার্থীরা। তার জেরে বিপাকে পড়েন অন্তত ৫০০-৬০০ সরকারি কর্মী, যাঁরা প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। ভিড়ের মধ্যে কেউ ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা, কারও বাড়িতে অসুস্থ মা। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দিলেন স্পষ্ট বার্তা। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি সবসময় সহানুভূতিশীল থেকেছি, আছি। আদালতের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি। এখনও পর্যন্ত কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। সরকার চেষ্টা করছে, অথচ যারা মামলা করেছিল তারাই আজ আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রাজ্যের ওপর আস্থা রাখা উচিত ছিল। আন্দোলন হোক, কিন্তু তা যেন গণ-দুর্ভোগের কারণ না হয়। তিনি বলেন, “রাস্তায় বসে কাউকে আটকানো যায় না। একজন পরীক্ষার্থী ঝাঁপ দিয়েছেন, তাঁর পা ভেঙেছে – এ তো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আন্দোলনেরও একটা শালীনতা থাকা দরকার।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আইন অনুযায়ী লড়াই করুন, আমরা আপনার পাশে আছি। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে কেউ যদি জল ঘোলা করে, তাহলে প্রশ্ন করতেই হয়—তবে মামলা করলেন কেন?”
এদিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরের আগে শিক্ষক আন্দোলনকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণ পথের পরামর্শ দিয়েছেন।
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের মধ্যে যখন প্রশাসনিক ভবন অচল হয়ে পড়ে, তখন সরকার ও প্রশাসনের সহিষ্ণুতা, আইন-শৃঙ্খলা এবং দায়িত্বশীলতা—তিনটি বিষয়ই একসঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:Ranveer Singh: বিয়ের আগে টানা ২০ ঘণ্টা কাজ, ক্ষমাও চেয়েছিলেন রণবীর