সপ্তাহের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। সোমবার বিকেলে তিনি শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ‘সিনার্জি’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এই সফরে তাঁর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে।
সোমবার বিকেলে কলকাতা থেকে উড়ে তিনি পৌঁছাবেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সরাসরি দীনবন্ধু মঞ্চে গিয়ে উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মূলত উত্তরবঙ্গে শিল্প বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিশেষ করে পর্যটন, চা, হস্তশিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে এই সম্ভাবনাগুলি তুলে ধরবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করবেন, তাঁদের প্রস্তাব ও সমস্যা শুনবেন এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানাবেন।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন ফুলবাড়ির ভিডিওকন মাঠে আয়োজিত সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে। এই কর্মসূচিতে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। অনেকগুলি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করবেন তিনি। মূলত এই অনুষ্ঠানটি ওদলাবাড়িতে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা ফুলবাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেবেন। উত্তরের সব জেলাকে নিয়ে এই বৈঠক হবে, যেখানে মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক কর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এই তিনদিনের সফরে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী ভবনে থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ফুলবাড়িতে পৌঁছে যান রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তারা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শনের শেষে খগেশ্বর রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সফর মানেই উন্নয়নের বার্তা। উত্তরবঙ্গের মানুষ সবসময় তাঁর আগমনের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, তিনি প্রতিবার কিছু না কিছু নিয়ে আসেন, কখনও খালি হাতে ফেরেন না। এত ঘন ঘন উত্তরবঙ্গে আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী আসেননি।”