সংঘর্ষবিরতি হলেও যুদ্ধ শেষ নয়। অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) কেবল শুরু মাত্র। পাকিস্তানের গতিবিধির ওপর এখন ভারতের কড়া নজর। কোনওরকম বেগড়বাঁই বা সন্ত্রাসের চেষ্টা হলে জবাব মিলবে, তাও ভারতের শর্তে, ভারতের নিজস্ব কৌশলে।
রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক দৃঢ় ও স্পষ্ট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিলেন, এখন থেকে পাকিস্তানের জন্য নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে — *নিউ নর্মাল*। এর তিনটি প্রধান দিক:
১. ভারতীয় মাটিতে সন্ত্রাস মানেই সঙ্গে সঙ্গে জবাব। আর এই জবাব হবে মুখের উপর, শিকড় উপড়ে ফেলবার মতো। সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে নিশানা করে হামলা হবে, ঠিক যেখান থেকে এদের জন্ম।
২. পারমাণবিক হুমকি আর চলবে না। ভারতের ধৈর্যকে দুর্বলতা ভেবে কেউ পরমাণু ব্ল্যাকমেলের আশ্রয় নিলে, তাদের সন্ত্রাসের কারখানায় আঘাত হানবে ভারত— সুনির্দিষ্ট, নিখুঁতভাবে।
৩. পাকিস্তানের সরকার ও জঙ্গিদের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। একে অপরের ছায়া। পাক সেনাদের জঙ্গিদের অন্ত্যেষ্টিতে অংশগ্রহণই প্রমাণ, যে সন্ত্রাস এখন ওদের রাষ্ট্রীয় নীতি। বিশ্ব ইতিমধ্যেই তা দেখে ফেলেছে।
বক্তব্যের শুরুতেই মোদি তুলে ধরেন অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্য। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এই ঘটনার পর আমি সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। ওরা ভাবতেই পারেনি— আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিলে, তার ফল কী হতে পারে। অপারেশন সিঁদুর ছিল ন্যায়ের বজ্রাঘাত। শতাধিক জঙ্গিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সন্ত্রাসের দুর্গগুলো চুরমার করে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলা যারা শুরু করেছিল, তারা এখন বুঝেছে— ভারতের প্রতিশোধ কতটা বিধ্বংসী হতে পারে।”
আরও পড়ুন:Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য কি এবং কেনো তাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?