আজ অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে দ্বারোদঘাটন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের।তার আগে মঙ্গলবার পূর্বসূচি অনুযায়ী মহাযজ্ঞে শামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।পূর্ণাহুতি দেন তিনি।নিজের হাতে করেন আরতি।ওরে ধ্বজাও।বস্তুত,গত রবিবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে পুরীর নিয়মে দিঘায় জগন্নাথ দেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় শুরু হয় আচার-অনুষ্ঠান।সোমবার শুরু হয়েছে পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ।জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী আটচালা ঘর।পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইসকন থেকে ১৭ জন সাধু তাতে শামিল হয়েছেন।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় পৌঁছন।পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী,-২৯ এপ্রিল বিশ্বশান্তির জন্য হয় মহাযজ্ঞ।১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ এবং ২ কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হয়।এদিন মহাযজ্ঞে পূ্র্ণাহুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নিজের হাতে আরতিও করেন।এরপরই বলেন,-মা-মাটি- মানুষের জন্য পুজো দিয়েছেন।মমতার কথায়,-“মা-মাটি-মানুষ ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকব।”
সূচি অনুযায়ী আজ,মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে।পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বিধান অনুযায়ী তা করবেন পুরীর রাজেশ দৈতাপতি।মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে জেলা,রাজ্য,প্রতিবেশী রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী যাবেন সৈকত শহর দিঘায়।সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে।যাঁরা মন্দির দর্শনে যাবেন,তাঁরা ওল্ড দিঘা থেকে ১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার হেঁটে মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন।নিউ দিঘা বাস ডিপো থেকে আসবেন তাঁরাও,১১৬ বি জাতীয় সড়ক ধরে শনিমন্দিরের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া যাবে।