নিউজ পোল ব্যুরো: দিঘার (Digha) আকাশে আজ শঙ্খধ্বনি আর ধূপের গন্ধে মিশে গেল এক নতুন ইতিহাসের সূচনা। অক্ষয়তৃতীয়ার শুভক্ষণে দ্বারোদ্ঘাটনের অপেক্ষায় থাকা জগন্নাথ মন্দিরে মঙ্গলবার ছিল মহাযজ্ঞের দিন। এই মহাযজ্ঞেই পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হাতে তুলে নিলেন পূজার থালা, করলেন আরতি। তার পরই উড়ল পবিত্র ধ্বজা—প্রতীক এক নতুন যাত্রার।

গত রবিবার বিকেল থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিয়ম মেনে দিঘার মন্দিরে শুরু হয়েছিল প্রাণপ্রতিষ্ঠার আচার। সোমবার থেকে চলেছে পুজো ও হোমযজ্ঞ। মূল মন্দিরের সামনেই তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী আটচালা, যেখানে ৫৭ জন সেবক এসেছিলেন পুরী থেকে এবং ইসকন থেকে যোগ দেন ১৭ জন সাধু।

আজকের মহাযজ্ঞ ছিল বিশ্বশান্তির উদ্দেশ্যে। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলগাছের কাঠ, সঙ্গে ২ কুইন্টাল ঘি অর্ঘ্য হিসেবে অগ্নিকে নিবেদন করা হয়। সেই শুভ মুহূর্তেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “মা-মাটি-মানুষের মঙ্গল কামনাতেই এই প্রার্থনা। ওঁরা ভালো থাকলে তবেই আমি ভালো থাকব।”

৩০ এপ্রিল, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হবে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা। পুরীর দৈতাপতি রাজেশ এই আচার সম্পন্ন করবেন। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী হতে ইতিমধ্যেই দিঘায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন জেলা, রাজ্য ও প্রতিবেশী রাজ্যের বহু পুণ্যার্থী। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ট্রাফিক ব্যবস্থায় আনা হয়েছে রদবদল। দর্শনার্থীরা ওল্ড দিঘা থেকে ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার হেঁটে অথবা নিউ দিঘা বাস ডিপো থেকে শনিমন্দিরের পাশ দিয়ে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন মন্দিরে।

 

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের ডাক অভিষেকের

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *