অতীতে রাজা-রাজড়াদের শিকার বিলাসের নানা কাহিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। শিকারকে একটি রাজকীয় শখ হিসেবে বিবেচনা করা হত এবং তার প্রতিফলন ইতিহাসের পাতায় এখনও রয়েছে। বর্তমানে কিছু মানুষ এখনও শিকারের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ দেখান। সাঁওতালি সমাজে শিকার উৎসব এক ধরনের পরব হিসেবেই পালন করা হয়। তবে বর্তমানে জঙ্গলে গিয়ে বন্যপ্রাণী শিকার করা নিষিদ্ধ হলেও, প্রতীকী শিকারই বেশি প্রচলিত। কিন্তু শিকারের নেশা যখন অতিরিক্ত হয়ে ওঠে, তখন সেই ব্যক্তি খুনীও হতে পারে। এমন এক ঘটনা ঘটেছে বারাসতের (Barasat) একটি এলাকায়।

সেখানে দুই যুবকের বিরুদ্ধে পাড়ার এক কুকুরকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করেছে। ঘটনা ঘটেছে বারাসত (Barasat) পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আরদেবক এলাকায়। স্থানীয় সঞ্জীব ঘোষের ছেলে এক নাবালক। তাদের বাড়িতে দুটি পাখি মারার বন্দুক ছিল। অভিযোগ, এই নাবালক সেই বন্দুক নিয়ে রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়েছিল এবং মিছিল থেকে পুলিশ বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে। তবে বাড়িতে ছিল আরেকটি বন্দুক, যা দিয়ে সে প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে পাখি মারত। বারবার নিষেধ সত্ত্বেও শিকার চলতেই থাকে।

সম্প্রতি, একদিন দুপুরে সেই বন্দুকের শব্দ শোনা যায় এবং এর পরেই পাড়ার একটি কুকুরের মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, এই কুকুরটি বন্দুকের আঘাতে মারা হয়েছে।

পরে পুলিশ এসে দুই যুবককে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ জানায়, এই বন্দুকটি সঞ্জীব ঘোষের ছিল। সঞ্জীব ঘোষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসছে, কারণ শিকার বা বিনোদনের জন্য নিরপরাধ প্রাণীকে এইভাবে খুন করা মানবিকতার পরিপন্থী।

আরও পড়ুন:SSC Case News:চাকরির দাবিতে লাঠির মুখে শিক্ষকরা,জেলায় জেলায় উত্তেজনা!জখম একাধিক শিক্ষক

By Sk Rahul

Senior Editor of Newz24hours