শুক্রবার মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের দুই দেশকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় দুপুর ১.৩০ নাগাদ এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মায়ানমারের মান্ডলয়। ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার নিচে। মায়ানমার তো বটেই ভূমিকম্পের বিরাট প্রভাব পড়ে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষের বাস। বিরাট বিরাট বাসভবন রয়েছে এই অঞ্চলে। যার একাধিক বাড়ি মুহূর্তের মধ্যে গুড়িয়ে যায়। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অন্তত ৪৫ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। পাশাপাশি বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও আশার কথা এই যে ভূমিকম্পের পর সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।মায়ানমারের এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে ভারতেও উত্তর-পূর্ব ভারতের পাশাপাশি কলকাতা-সহ বাংলার একাধিক জেলায় ভূমিকম্প অনুভব করা গিয়েছে। বিপর্যয়ের পর উদ্বেগ প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,-“মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা প্রার্থনা করছি।সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত ভারত।সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।এছাড়াও,বিদেশমন্ত্রককে মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত,সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে,-মায়ানমারের একাধিক সেতু ভেঙে পড়েছে, ব্যাঙ্ককে নির্মীয়মান বহুতল ভবন ধসে গিয়েছে, এবং হেলে পড়েছে বিভিন্ন ভবন।মায়ানমার ও থাইল্যান্ড সরকার দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।বিশেষজ্ঞদের মতে,-এই ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের ঢেউয়ে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি,তাই সুনামির আশঙ্কা নেই।তবে আফটারশকের ভয় থাকায় লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *